পদ্মা সেতুর সুফল পাচ্ছেন বরিশালবাসী

পদ্মা সেতুর সুফলে দ্রুতসময়ে প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে বরিশালে ফিরতে শুরু করেছে ঘরমুখো মানুষ। তবে বড় কোম্পানির পরিবহনগুলো বাদে কিছু কিছু পরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ করেছেন যাত্রীর।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) দুপুর দেড়টার দিকে সরেজমিনে বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। সকাল থেকেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ায় ভিজেই গাড়ি থেকে নামছে যাত্রীরা। এ ছাড়া ট্রাফিক পুলিশও বৃষ্টি উপেক্ষা করেই সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
ঢাকার বাইপাইল থেকে ফেরা যাত্রী মো. ফাহিম বলেন, ‘আমি বাইপাইল থেকে সকাল ৮টায় বাসে উঠেছি। ৫ ঘণ্টায় বরিশালে আসতে পেরেছি। পথে যানজট থাকায় গাড়ি বরিশালে আসতে দেরি করেছে। তবে পদ্মা সেতুর কারণে হলেও ৫ ঘণ্টায় আসতে পেরেছি কোনো রকম দুভোর্গ ছাড়াই।’
আব্দুল্লাহপুর থেকে বাসে ওঠা যাত্রী মো. ইসমাইল বেলা দেড়টার দিকে নথুল্লাবাদ এসে পৌঁছেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার কাছ থেকে ভাড়া বেশি নিয়েছে। আগে আমি ৭০০ টাকায় বরিশালে আসছি। আজ ১ হাজার টাকা নিয়েছে।’
এ ছাড়াও সায়েদাবাদ থেকে বাসে ওঠা যাত্রী মো. সেলিম ৫ ঘণ্টায় বরিশাল নথুল্লাবাদ এসেছেন। তিনি বলেন, ‘পথে প্রচুর যানজট ছিল। তাই বেশি সময় লেগেছে। এর আগে সাড়ে ৩ ঘণ্টায় বরিশালে আসছি। ভাঙার পর থেকেই গাড়ি স্লো চলছে।’
যাত্রী মো. রাসেল বলেন, ‘আমি কুড়িল বিশ্বরোড থেকে বাসে উঠেছি। ১ হাজার টাকা ভাড়া নিয়েছে। আগে ভাড়া ছিল সাড়ে পাঁচশ টাকাথে ছয়শ টাকা। এখন ভাড়া বেশি দিয়ে হলেও আসতে হচ্ছে।'
তবে দুর্ভোগে পড়েছে ঘরেফেরা যাত্রীরা। এ ক্ষেত্রে যেকোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বরিশালের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের টহল লক্ষ করা গেছে।