বরিশালে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ ও আল্টিমেটাম

বরিশালে বাসদের এক কর্মীর দায়ের করা চাঁদাবাজী ও মারধরের মামলায় মহানগর আওয়ামী লীগ কর্মী রিপন মাঝীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এবং তার মুক্তির দাবিতে থানা ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। একই দবিতে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেছে। বিকেলের মধ্যে মুক্তি দাবি করলেও আদালত আসামীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছ।
গতকাল সোববার দুপুর ১২টার দিকে বিমান বন্দর থানার সামনে জড়ো হয়ে থানা ঘেরাও করে।
অভিযোগের প্রাথমিক সত্যসার ভিত্তিতে আসামীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে বিমানবন্দর থানা পুলিশ। আদালতের বিচারক আসামীকে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন।
এদিকে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক হাসান মাহমুদ বাবু এবং শিল্প ও বানিজ্য সম্পাদক নিরব হোসেন টুটুলের নেতৃত্বে ২ শতাধিক নেতাকর্মী বিমান বন্দর থানার সামনে জড়ো হন। এ সময় তারা গ্রেপ্তারকৃত আওয়ামী লীগ কর্মী রিপন মাঝীর মুক্তি দাবি করেন। এরপর তারা নগরীর সদর রোডের দলীয় কার্যালয় চত্ত্বরে গিয়ে বিক্ষোভ করেন।
এ সময় মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক হাসান মাহমুদ বাবু সাংবাদিকদের বলেন, ষড়যন্ত্রকারীদের মিথ্যা অভিযোগে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের একজন কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দ্রুত তার মুক্তির দাবি করেন তিনি। সোমবার বিকেল ৫টার মধ্যে তার মুক্তি দেয়া না হলে পরবর্তীতে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারী দেন হাসান মাহমুদ বাবু।
এ ব্যাপারে নগরীর বিমান বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি কমলেশ চন্দ্র হালদার জানান, মামলার অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতার ভিত্তিতে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। পুরো বিষয়টি পুলিশের রুটিন কাজ। এখানে অন্য কোন বিষয় নেই বলে দাবি তার।
উল্লেখ, গত ৩০ মার্চ নগরীর ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের দিয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা বাসদ জেলা শাখার সদস্য গোলাম রসুল বাদী হয়ে ইজিবাইক থেকে অবৈধভাবে চাঁদাবাজীর অভিযোগে ৪ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। এর মধ্যে ১ নম্বর আসামী রিপন মাঝীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এই গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এবং তার মুক্তির দাবিতে আন্দোলন করে মহানগর আওয়ামী লীগ। ওই মামলার দ্বিতীয় নম্বর আসামী রাফসানের পিতা জসিম উদ্দিন ২৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি।