বরিশালে আদালতের জিআরও’র সিল জাল করে থানায় ভূয়া জামিনের রিকল প্রেরণ, দালাল কারাগারে

বরিশালে আদালতের জিআরও’র (জেনারেল রেজিস্টার অফিসার) সাক্ষর ও সিল জালিয়াতি করে মামলার এজাহারভুক্ত আসামীর ভূয়া জামিনের রিকল তৈরি ও থানায় প্রেরণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক দালালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত সোমবার উজিরপুর থানা পুলিশ জুলহাস ওরফে শাহিন হাওলাদার নামে ওই দালালকে গ্রেপ্তার করে।
মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় অভিযুক্ত দালাল জুলহাস ওরফে শাহিন হাওলাদারকে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মওদুদ আহমেদ তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের জিআরও আবু তালেব জানান, গত ২৩ জুলাই উজিরপুর থানায় জনৈক ইকবাল হোসেন বাদি হয়ে মারামারির ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ৬জন আসামী ছিলেন। এর মধ্যে বাদশা খান নামে এক আসামীকে পুলিশ গ্রেপ্তারের পর আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক তার জামিন মঞ্জুর করেন। বাকী ৫ আসামী বাদল খান, রফিক খান, হালিম খান, কামাল খান ও আব্বাস খান আদালতে হাজির হননি কিংবা জামিন নেননি। অথচ গত ৩০ জুন সংশ্লিষ্ট আদালতের জিআরও আবু তালেবের সাক্ষর ও সিল জালিয়াতি করে বাদশা খানের জামিনের রিকলের (জামিনের প্রমাণপত্র) সঙ্গে জামিন না নেওয়া ৫ আসামীর নাম যুক্ত করে দালাল জুলহাস ওরফে শাহিন হাওলাদার একটি ভুয়া রিকল তৈরি করে উজিরপুর থানায় প্রেরণ করে।
এ নিয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মিজানুর রহমানের সন্দেহ হলে তিনি ওই রিকলের সত্যতা যাচাই করেন। যাচাইকালে ৫ আসামীর জামিন না নিয়েও থানায় ভুয়া রিকল পাঠানোর বিষয়টি ধরা পড়ে পুলিশের কাছে। ওই সময় সংশ্লিষ্ট জিআরও করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এ ঘটনায় তদন্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বাদি হয়ে গত ৭ জুলাই ওই ৫জনের বিরুদ্ধে উজিরপুর থানায় একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করেন। প্রতারণা মামলা তদন্তকালে প্রতারক জুলহাস ওরফে শাহিন হাওলাদারের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তাকে গত ১০ আগস্ট উজিরপুর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গতকাল তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। বিচারক শুনানী শেষে তাকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।