বরিশালে করোনা ওয়ার্ডে ভর্তির পর রোগির মৃত্যু,বাড়ি লকডাউন করেছে প্রশাসন

বরিশালে করোনা ওয়ার্ডে ভর্তির পর রোগির মৃত্যু,বাড়ি লকডাউন করেছে প্রশাসন

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে করোনা সন্দেহে ইউসুফ আলী (৫০) নামে এক রোগি ভর্তির কিছুক্ষণ পর মারা গেছেন। করোনা ওয়ার্ডে সন্দেহভাজন রোগী মৃত্যুর খবর জেলা প্রশাসনকে জানিয়ে সতর্ককতার জন্য ওই বাড়ি লক ডাউন করার অনুরোধ করা হয়েছে।


 সোমবার বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে ইউসুফ আলীকে করোনা ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয। এরপর বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়। 


মৃত ইউসুফ আলী নগরীর উপকন্ঠ তালতলী রাঢ়ি মহলের বাসিন্দা ছিলেন। 

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন জানান, ইউসুফ আলী গত ২/৩দিন আগে গলাব্যাথা এবং কাশি নিয়ে হাসপাতালের নাক, কান গলা বর্হিঃবিভাগে ডাক্তার দেখিয়েছিলেন। এরপর বাসায় সে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। গতকাল সোমবার বিকেলে তিনি জ্বর, গলাব্যাথা ও কাশি নিয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আসলে তাকে করোনা ওয়ার্ডে প্রেরণ করা হয়। তাকে অক্সিজেন দেওয়া সব ধরণের চিকিৎসা দেওয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পর বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়। সে করোনা আক্রান্ত ছিলো কি না তা নিশ্চিত হতে মৃত ব্যক্তির রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ওই নমুনা বিশেষ ব্যবস্থায় ঢাকার আইইডিসিআর এ পাঠানো হবে। 


হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন বলেন, করোনা ওয়ার্ডে সন্দেহভাজন রোগী মৃত্যুর খবর জেলা প্রশাসনকে জানিয়ে সতর্ককতার জন্য ওই বাড়ি লক ডাউন করার অনুরোধ করা হয়েছে।


এদিকে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ৭ জন রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন। এরমধ্যে পুরুষ ৬ জন এবং মহিলা ১ জন।


অপরদিকে করোনা ওয়ার্ডে রোগি মারা যাওয়ার খবর পেয়ে গতকাল সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসন মৃত ওই ব্যক্তির বাড়ি লকডাউন করে দেয় বলে জেলা প্রশাসনের ফেসবুক পেইজে জানানো হয়। বরিশালে করোনা সংক্রান্ত ঘটনায় প্রথমবারের মতো কারো বাড়ি লকডাউনর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।