বরিশালে জনশুমারি ও গৃহগণনা কার্যক্রমের উদ্ধোধন
বরশিালে ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২’ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্ধোধন হয়েছে।
বুধবার (১৫ জুন) বেলা সাড়ে ১১ টায় বরিশাল বিভাগীয় পরিসংখ্যা কার্যালয়ের আয়োজনে নগরীর কালিবাড়ী রোডে সেরনিয়াবাত ভবনে সপ্তাহব্যাপী ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২’ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্ধোধন করেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বরিশাল বিভাগীয় গণশুমারি সমন্বয়কারী মোঃ সাঈদুর রহমান,বরিশাল জেলা সমন্বয়কারী মোঃ আব্দুর রহমান,উপজেলা সমন্বয়কারী মোঃ সাইফুল ইসলাম ও জোনাল অফিসার মোঃ কামরুল ইসলাম।
বরিশাল বিসিসি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বলেছেন, ৬ষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা কার্যক্রমে সকল নগরবাশি এ কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের সঠিক তথ্য প্রদানের মাধ্যমে সহযোগীতা করার আহবান জানান।
এদিকে শুমারী ও জরিপ কার্য বাস্তবায়নে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের গননাকারী ও সুপারভাইজারদের সাথে এক মতবিনিময় সভা সোমবার বরিশাল শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এলাকায় শুমারি কর্মী হিসেবে ৮৩৬ জন গণনাকারী, ১৪৪ জন সুপারভাইজার এবং পরিসংখ্যান ব্যুরোর কর্মচারীরা এ প্রক্রিয়ার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকবেন।
উল্লেখ্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের বরাত দিয়ে সম্প্রতি এক সরকারি তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়েছে, শুমারি শুরুর আগে ১৪ জুন রাত ১২টা’কে ‘শুমারি রেফারেন্স পয়েন্ট/সময়’ হিসেবে ধার্য করা হয়েছে।
বিবরণীতে বলা হয়, এবারই প্রথম ডিজিটাল পদ্ধতিতে জনশুমারি কার্যক্রম পরিচালিত হতে যাচ্ছে। একটি ওয়েবভিত্তিক ইনটিগ্রেটেড সেনসাস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (আইসিএমএস) প্রস্তুতসহ জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেমে (জিআইএস) গণনা এলাকার বিভিন্ন পর্যায়ের কন্ট্রোল ম্যাপ প্রস্তুত করা হয়েছে।জনশুমারির তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রমে শুমারি কর্মী হিসেবে সারাদেশে প্রায় ৩ লাখ ৭০ হাজার গণনাকারী, ৬৪ হাজার সুপারভাইজার এবং বিবিএস’র সাড়ে ৪ হাজারের অধিক কর্মচারী এ প্রক্রিয়ার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকবেন।
এছাড়াও বিবিএস বহির্ভূত বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রায় ৯০০ জন কর্মচারী জোনাল অফিসার হিসেবে দায়িত্বপালন করবেন। শুমারিতে সঠিক তথ্য প্রদানে উদ্বুদ্ধকরণ বিষয়ক গান, নাটিকা, ডকুড্রামা, শুমারি কাউন্ট ডাউন, ডকুমেন্টারি দেশের সকল সরকারি-বেসরকারি গণমাধ্যমে প্রচার করা হবে। জেলা তথ্য অফিসের মাধ্যমে স্থানীয় ক্যাবল টিভিতে জনশুমারি প্রচার, প্রচার সামগ্রী বিতরণ, ডকুমেন্টারি প্রচারসহ শুমারি চলাকালে মাইকিং করা হবে।উল্লেখ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় ১৯৭৪ সালে প্রথম আদমশুমারি ও গৃহগণনা পরিচালিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় দশ বছর পর-পর ১৯৮১, ১৯৯১, ২০০১ এবং ২০১১ সালে যথাক্রমে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ এবং পঞ্চম আদমশুমারি ও গৃহগণনা অনুষ্ঠিত হয়।