বরিশালে সরকারি প্রকল্পের অনিয়ম দুর্নিতীর ফোনালাপ ভাইরাল

বরিশালের উজিরপুর সরকারি প্রকল্পে দুর্নীতি ও ঘুষ লেনদেন সংক্রান্ত কথপোকথন অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। উপজেলায় এক ইউপি চেয়ারম্যান ও এক ইউপি সদস্যের মধ্যে সংঘটিত কথপোকথনে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
গত বৃহস্পতিবার জনৈক মো. জুনায়েদ সিদ্দিকী নামে একটি ফেসবুক আইডি দিয়ে এটি পোস্ট করা হয়। পোস্টটি একদিনে ১০৪ বার শেয়ার হয়েছে। ১৯ মিনিট ৫৬ সেকেন্ডর কথপোকথনে ওই এলাকায় তোলপাড় চলছে।
বরিশালের উজিরপুর উপজেলার জল্লা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বেবী রানী হালাদার ও সংরক্ষিত ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য দীপালী হালাদরের বলে নিশ্চিত করেছে স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, কথপোকথনের বিষয়টি দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচি প্রকল্পের কাজ যথাযথভাবে না করিয়ে সেই টাকা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে ভাগ করা সংক্রান্ত। ১৯ মিনিট ৫৬ সেকেন্ডর কথপোকথনে ইউপি সদস্য দীপালী হালদার ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করেন যে, উপজেলা প্রশাসনকে ঘুষ দেয়ার পরও তার (দীপালী হালাদার) বিরুদ্ধে কেন অভিযোগ করা হয়েছে।
ফোনালাপে দীপালী হালদভর বলেছেন, ভাইরাল হওয়া অডিওটি তার নিজের এবং সেখানে যা দাবি করা হয়েছে তা সবই সত্য। তবে ইউপি চেয়ারম্যান বেবী রানী হালদার দাবি করেন, ওই কণ্ঠস্বর তার না এবং এব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না।
এদিকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা অয়ন দাস জানান, নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে দীপালী হালদারকে কেন বরখাস্ত করা হবে না মর্মে নোটিশ এসেছে। যার ফলে তিনি এখন মিথ্যা রটাচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণতী বিশ্বাস সাংবাদিকদের জানান, অডিওর আলোচিত বিষয়টি তার মেয়াদকালের নয়। এ ব্যাপারে ফোনে কিছু বলতে রাজিও হননি তিনি।
উল্লেখ্য, নানা অভিযোগে ইউপি সদস্য দীপালী হালদারকে ৪ মাস আগে বরখাস্ত করা হয়। কেন তাকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে না সে ব্যাপেরে নোটিশ দিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।