বরিশাল জমজম নার্সিং আবাসিকে ভূত আতঙ্ক, ৪ শিক্ষার্থী অজ্ঞান

বরিশাল জমজম নার্সিং আবাসিকে ভূত আতঙ্ক, ৪ শিক্ষার্থী অজ্ঞান

বরিশাল নগরীর রূপাতলীর জমজম নার্সিং ইন্সটিটিউটের হোস্টেলে ভূত আতঙ্কে  ৪ জন আবাসিক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অসুস্থতার খবর পেয়ে বয়েজ হোস্টেলে থাকা ছাত্ররা এবং হোস্টেলের বাবুর্চি মালেকা বেগম তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে ।   

শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারী) রাত সাড়ে ১১টার দিকে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সেতু দাস ও জামিলা আক্তার এবং প্রথম বর্ষের বৈশাখী আক্তার ও তামান্না আক্তারকে অজ্ঞান অবস্থায় শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। 

ওই ইন্সটিটিউটের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, নার্সিং ও ম্যাটস্ অনুষদের ছাত্রীদের হোস্টেলে থাকা বাধ্যতামূলক। ইন্সটিটিউটের ৫ম তলায় ম্যাটস্ এবং ৬ষ্ঠ তলায় আবাসিক ছাত্রীর থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে আবাসিক ছাত্রীদের কেউ কেউ রাতের বেলা ছাদে হাটাহাটির শব্দ শুনতে আবার কখনও কক্ষের মধ্যে অস্বাভাবিক ছায়া দেখতে পাচ্ছিলেন। বিষয়টি ওই হোস্টেলে বসবসকারী সকল ছাত্রীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনাকে তারা ভূতের উপস্থিতি বলে বিশ্বাস করে। গতকাল রাতেও হোস্টেলের ছাদে ভূতের উপস্থিতি অনুভব এবং কক্ষে অজ্ঞাত ছায়া দেখতে পান তারা। এতে পুরো ছাত্রী হোস্টেলে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় জামিলা এবং অপর ৩ ছাত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়ে।

ইন্সটিটিউটের প্রভাষক জালিস মাহমুদ জানান, আবাসিক ছাত্রীদের ভীতি দূর করতে কাউন্সিলিংয়ে ব্যবস্থা করা হয়েছিলো। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত ছাদে নজরদারী করা হয়েছে। হুজুর এনে মিলাদ-দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। এরপরও তাদের ভয় কাটেনি।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছাত্রীদের যথাযথ চিকিৎসা প্রদান এবং কাউন্সিলিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান ইন্সটিটিউটের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুন্সি এনাম।

হোস্টেলে ৪ ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর পেয়ে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক রিয়াজুল ইসলাম জানান, কেন এমন ঘটনা ঘটলো তা তদন্ত চলছে। ওই ঘটনার পর রাতে ওই হোস্টেলে থাকা ৬০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৪৫জন তাদের নিজ নিজ এবং আত্মিয় স্বজনের বাসায় চলে যায়।