বরিশাল আদালত চত্ত্বরে প্রকাশ্যে মারধর করলেন আইনজীবী

বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট আরিফুর রহমানের বিরুদ্ধে আদালত চত্বরে এক ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে মারধর করে সাদা স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক সাক্ষর নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতনের শিকার নাসির সিকদারের শ্যালক হাওলাদার সোহেল এই তথ্য জানিয়েছেন।
গত মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে আদালত প্রাঙ্গনে জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন মিজানের চেম্বারে আলেকান্দা নিবাসী নাসির সিকদারকে মারধর করা হয়।
নাসিরের স্বজনরা জানায়, একটি বিষয়ে আইনী পরামর্শ নিতে নাসির সিকদার গত মঙ্গলবার আদালত প্রাঙ্গনে যান। এ সময় আরিফুর রহমান তাকে একা পেয়ে পাওনা দাবি করে ২০ লাখ টাকা চায়। এ নিয়ে বাদানুবাদের এক পর্যায়ে আরিফুর রহমান আদালতের মূল ফটকের সামনে নাসিরকে টানা হ্যাচড়া করে। আদালতে দায়িত্বরত পুলিশ বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করে। উভয়কে সমঝোতা করে নিতে বলে। পরে সুযোগ বুঝে আরিফুর রহমান আদালত চত্বরে অবস্থানরত নাসির সিকদারকে বেদম মারধর করে। প্রকাশ্যে মারধর করায় লোকজন ভীড় করে। তারা তাকে রক্ষা করে। এ সময় আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট জটলা দেখে সদর থানার জিআরওকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে নির্দেশ দেন। জিআরও খোকন চন্দ্র সবাইকে সরিয়ে দিলে আরিফুর রহমান নাসির সিকদারকে আইনজীবী সমিতির সদস্য আনোয়ার হোসেন মিজানের চেম্বারে নিয়ে যান। সেখানে নাসিরকে রশি দিয়ে বেঁধে বেদম মারধর করা হয়। পরে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫টি সাদা স্ট্যাম্পে তার সাক্ষর ও টিপসই নেয় সে।
অভিযোগের বিষয়ে আরিফুর রহমান বলেন, নাসিরসহ কয়েকজন তাকে জমি দেয়ার কথা বলে ২০ লাখ টাকা নিয়ে জালিয়াতি করে। এ অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হলে তারা হাইকোর্টের ভুয়া জামিননামা দাখিল করে। তাকে পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার জন্য আটক করা হয়েছে। পরে এলাকাবাসী সমঝোতার কথা বলে নাসিরকে ছাড়িয়ে নেয়।
আদালত চত্বরে আইনজীবীর মারধরের বিষয়ে জেলা আইনজীবী সমিতির সম্পাদক অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, বিষয়টি তিনি মুঠোফোনে শুনেছেন। আরিফুর রহমান কাজটি ঠিক করেননি। এ ব্যাপারে ওই ব্যক্তি আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারেন।