বরিশাল মেট্রোপলিটনের দুই পুলিশ কর্মকর্তার শাস্তিমূলক বদলী

বরিশাল মেট্রোপলিন পুলিশের (বিএমপি) বিমান বন্দর থানার ওসি মাহবুব-উল আলম এবং উপ-পরিদর্শক মনিরকে শাস্তিমূলক বদলী করা হয়েছে। ওসি মাহবুবুল ইসলামকে ঢাকার আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে এবং এসআই মনিরকে ঢাকা ট্যুরিস্ট পুলিশে সংযুক্ত করা হয়েছে। বিএমপি’র মূখপাত্র সহকারী পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) নাসির উদ্দিন মল্লিক দুই কর্মকর্তার বদলীর বিষয়টি স্বীকার করলেও প্রশাসনিক কারণে তাদের বদলী করা হয়েছে বলে দাবী করেন।
তবে বিএমপি’র দায়িত্বশীল সূত্র ওসি মাহবুব-উল ইসলাম ও এসআই মনিরকে শাস্তিমূলক বদলি করার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বরিশাল বিএম কলেজের ছাত্রী মিলি ইসলামকে হত্যার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলা তদন্তে গাফেলতি এবং মামলাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অভিযোগে মাহবুবুল ইসলাম ও মনিরকে বুধবার শাস্তিমূলক বদলী করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, বিএম কলেজের মাষ্টার্সের ছাত্রী মিলি ইসলামের ঝুলন্ত লাশ গত ৩ মে নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল সংলগ্ন ফিশারী রোডের একটি ভবনের দোতলার ফ্লাট থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। মিলির লাশ উদ্ধারের পর প্রথমে অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়। পরে মিলির মা বাদি হয়ে নগরীর মডেল স্কুল এন্ড কলেজের গণিত বিষয়ের শিক্ষক পুলিন সরকারকে অভিযুক্ত করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় শিক্ষক পুলিন সরকারকে পুলিশ গ্রেফতারও করে। পরে তিনি জামিনে মুক্ত হন।
সূত্র জানায়, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা পুলিন সরকার মিলি ইসলামের বড় বোনের বাসার গৃহশিক্ষক ছিলেন। সে সুবাদে পুলিনের সঙ্গে মিলির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
মিলির ভাই সোহাগ হাওলাদার বলেন, পুলিন সরকার ভিন্ন ধর্মের হওয়ায় মিলি ও পুলিনের সম্পর্ক তাদের পরিবার মেনে নেয়নি। সোহাগ হাওলাদারের অভিযোগ পুলিন সরকার ফিশারী সড়কের ওই বাসা ভাড়া নিয়ে তার বোন মিলিকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায়।
মেট্রোপলিটন পুলিশের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, মিলি ইসলামের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলাটি তদন্তে প্রভাব বিস্তার ও গাফেলতি করে ওসি মাহবুবুল ইসলাম ও এসআই মনির। বিষয়টি বিএমপি কমিশনার মো. শাহবুদ্দিন খান অবহিত হওয়ার পর ওই দুই কর্মকর্তাকে শাস্তিমূলক বদলী করেন। বদলীর বিষয়টি স্বীকার করে ওসি মাহবুবুল ইসলাম বলেন, কি কারণে বদলি করা হয়েছে তা তিনিও জানেন না।