বিএসএমএমইউ ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ: বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে মামলা, ২৫-৩০ জন আসামি

বিএসএমএমইউ ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ: বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে মামলা, ২৫-৩০ জন আসামি

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ডা. শেখ ফরহাদ রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ২০-৩০ জন ডাক্তার, নার্স, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীকে আসামি করা হয়েছে।

শাহবাগ থানার ওসি মোহাম্মদ খালিদ মনসুর জানিয়েছেন, গত ৪ আগস্ট ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় প্রক্টরের দায়ের করা মামলায় অজ্ঞাতনামা ২৫-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে এবং সুষ্ঠু সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

৪ আগস্ট দুপুরে শাহবাগ মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা তাদের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি পালন করছিল। এ সময় বিএসএমএমইউ ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরিরত স্বাচিপ এবং কিছু আওয়ামীপন্থি কর্মচারী ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে আন্দোলনকারীদের দিকে ইট-পাটকেল ছুড়ে হামলা চালায়।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, হামলাকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবনের ছাদ এবং ১ নম্বর গেটের ভেতর থেকে ভারী বস্তু নিক্ষেপ করে। এতে অনেক আন্দোলনকারী গুরুতর আহত হন, যা বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে।

মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, হামলাকারীরা ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করে প্রাণনাশের চেষ্টা চালিয়েছে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে থাকা ৩০-৩৫টি গাড়ি ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও পুড়িয়ে ফেলা হয়। এছাড়া কেবিন ব্লকসহ বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ করে সম্পত্তি ধ্বংস করা হয়।

প্রক্টরের এজহারে আরও বলা হয়েছে, হামলাকারীদের মধ্যে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের চিহ্নিত করা গেছে। তারা পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে।

পুলিশ জানায়, পুরো ঘটনার তদন্ত চলছে এবং দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।