ব্রজমোহন কলেজ শিক্ষার্থীর বিশ্বরেকর্ড জয়ে সংবর্ধনা

গিনেস বুকে নতুন রেকর্ড করায় বরিশাল ব্রজমোহন কলেজের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান জুবায়েরকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। আশিকুর রহমান জুবায়ের ‘নেক থ্রো এন্ড ক্যাসেস’ ক্যাটাগরীতে নতুন বিশ্ব রেকর্ড গড়ে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের স্বীকৃতি অজর্ন করায় ওই সংবর্ধনা দেওয়াা হয়।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বিকেল তিনটায় জেলা প্রশাসন এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে আশিকুরের বিশ্ব রেকর্ড গড়ায় ওই সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
আশিকুরের আবেদন এবং প্রেরিত ডকুমেন্টারী পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ গত ৩০ জুলাই তাকে ওই স্বীকৃতি দিয়েছে। আশিকুর রহমান জুবায়ের ব্রজমোহন কলেজের ইতিহাস বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী এবং তার গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠী জেলায়।
নেক থ্রো এন্ড ক্যাসেস ক্যাটাগরীতে এর আগের বিশ্ব রেকর্ডের মালিক ছিলেন জার্মানীর মরকেল গুর্ক। তিনি মিনিটে ৬২ বার বল নিক্ষেপ ও ধরে ফেলতে পারতেন। সেই রেকর্ড ভেঙ্গে বরিশালের ছেলে আশিকুর রহমান জুবায়ের ১ মিনিটে ৬৫ বার বল নিক্ষেপ করে ধরে ফেলতে পারছেন। গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লিখিয়ে বরিশালসহ বাংলাদেশকে নতুন করে বিশ্বের বুকে তুলে ধরলো জুবায়ের।
সংবধনা অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আশিকুর জুবায়েরকে ফুল, ক্রেস্ট দিয়ে সংবর্ধিত করা হয়। একই সঙ্গে আশিকুরের হাতে ১০ হাজার টাকা তুলে দেয় জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া সংস্থা। এ সময় নেক থ্রো এন্ড ক্যাসেস ক্যাটাগরীতে নতুন বিশ্ব রেকর্ড করে বাংলাদেশের সুনাম বয়ে আনায় আশিকুরকে ধন্যবাদ জানান প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
জেলা প্রশাসনের সংবর্ধনার জবাবে আশিকুর আগামীতে দেশের জন্য আরও সুনাম বয়ে আনার অঙ্গীকার করেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সামনে ফুটবল নিয়ে নানা ধরণের কসরত প্রদর্শন করেন সংবর্ধিত আশিকুর রহমান জুবায়ের।
সংবর্ধনা প্রদানের সময় জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) প্রশান্ত কুমার দাস, জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা মো. হোসাইন আমমেদ, বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন খান আলো এবং জেলা প্রশাসনের প্রবেশন কর্মকর্তা সাজ্জাদ পারভেজসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।