মতিউর রহমান ও তার প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সম্প্রতি ছাগলকাণ্ডে আলোচিত হওয়া মতিউর রহমানের দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত বিপুল পরিমাণ সম্পদের বিষয়টি সামনে আসতে শুরু করেছে।
গত বছর কুরবানির ঈদের আগে মুশফিকুর রহমান ইফাত নামের এক যুবক সাদিক এগ্রো থেকে ১৫ লাখ টাকার ছাগল কিনে ভাইরাল হন। এসময় তার বাবার পরিচয় হিসেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা মতিউর রহমানের নাম উঠে আসে। এরপর থেকেই বিভিন্ন ফাঁকফোকর দিয়ে মতিউরের কোটি কোটি টাকার সম্পদের তথ্য প্রকাশ্যে আসে।
মাত্র ৩২ বছর বয়সে লায়লা কানিজের মেয়ে ফারজানা রহমান ইপ্সিতার নামেও রয়েছে বিপুল পরিমাণ সম্পদ। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় সাততলা বাড়িসহ শত কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক এই তরুণী। আয়কর নথিতে তার প্রকাশিত সম্পদ ৪২ কোটি টাকা, যা বিভিন্ন কোম্পানিতে বিনিয়োগ রয়েছে। এসব সম্পদ মূলত অবৈধভাবে অর্জিত বলে জানা যায়।
টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যরা যার যার ক্ষমতা দিয়ে সব অবৈধ পথেই সম্পদের পরিমাণ বাড়িয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। আইনের প্রতি অবজ্ঞা করলে তারা আরও বড় ধরনের অপরাধে জড়াতে পারেন।’
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উচিত হবে মতিউর রহমানের সম্পদের উৎস ও তা অবৈধভাবে অর্জনের তদন্ত করা