মিয়ানমারে আবার গুলি

মিয়ানমারে সেনাবিরোধী আন্দোলনে আবার গুলি চালিয়েছে প্রশাসন। এতে নতুন করে আটজন প্রাণ হারিয়েছেন।
আল-জাজিরা জানিয়েছে, রবিবারও কয়েক হাজার মানুষ বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ করেছেন। এর মধ্যে দ্বিতীয় বড় শহর মান্দালেতে রাস্তায়ই প্রাণ হারান দুজন।
এছাড়া ওয়েটলের কেন্দ্রীয় শহরে মারা যান আরও তিনজন। শান স্টেট নামের একটি এলাকা থেকে এসেছে আরও দুই মৃত্যুর খবর। হাপাকন্তা নামক এলাকায় মারা যান বাকি একজন।
এক ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের পর এই আন্দোলনে প্রায় ৮০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
মিয়ানমারের নির্বাচনে কারচুপির প্রমাণবিহীন দাবি করে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করে এবং দেশে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করে। সু চি-সহ বেসামরিক রাজনৈতিক নেতাদের বন্দি করা হয়।
সামরিক বাহিনীর প্রধান মিন অং লাইং-ই এখন দেশটির সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি।
অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভ ঠেকাতে সেনা কর্তৃপক্ষ ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছিল কিন্তু তা সত্ত্বেও লাখ-লাখ লোক রাজপথে নেমে আসে।
মিয়ানমারে এই সহিংসতা বন্ধ করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে দেশটির সেনাবাহিনীকে আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। একই সঙ্গে অং সান সুচি-সহ সব রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি চাওয়া হয়েছে।
পরিষদ থেকে দেয়া বিবৃতিতে সম্প্রতি বলা হয়েছে, ‘বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় অপ্রত্যাশিত কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়েছে সেনাবাহিনী।’
মিয়ানমারে জাতিসংঘের বিশেষ দূত ক্রিস্টিন শরণার বার্গনার ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদকে বলেছেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির সঙ্গে তার আলোচনা নানা জটিলতার দিকে গেছে।