মুলাদীতে দরপত্র ছাড়া সরকারী গাছ বিক্রির অভিযোগ

বরিশালের মুলাদী উপজেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে দরপত্র আহ্বান ছাড়া গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা প্রশাসনের দাবি মাসিক সমন্বয় সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে গাছ কাটা হয়েছে। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের দাবি কোন সভা হয়নি। এদিকে গাছ কাটার বিষয়ে কিছুই জানা নেই জেলা প্রশাসক। স্থানীয় বন বিভাগকেও এ বিষয়ে কিছু অবহিত করা হয়নি।
গত শুক্রবার হঠাৎ করে মুলাদী উপজেলার প্রেসক্লাব থেকে থানা স্টেডিয়াম পর্যন্ত সড়কের পাশে থাকা ১৩টি মেহগিনি গাছ কেটে ফেলে। ওই সময় স্থানীয়রা তাদের কাছে গাছ কাটার কারণ জানতে চান।
গাছ কাটায় নিয়োজিত শ্রমিক মঞ্জু মোল্লা জানান, উপজেলা চেয়ারম্যান তারিকুল হাসান মিঠু ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভ্রা দাস গাছ কাটার নির্দেশ দিয়েছেন। তাদের নির্দেশ অনুযায়ী শ্রমিকরা ১৩টি মেহগিনি গাছ কেটে সড়কের পাশে ফেলে রাখে।
মুলাদী উপজেলা বন কর্মকর্তা খলিলুর রহমান জানান, বেশ কিছুদিন পূর্বে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুলাদী প্রেসক্লাব থেকে থানা স্টেডিয়াম পর্যন্ত সড়কের দুই পাশের গাছগুলো পরিমাপ করার জন্য মৌখিকভাবে নির্দেশন দেন। কিন্তু গাছ গুলোর পরিমাপ করা হয়নি। এর বেশি তিনি কিছু জানেন না।
মুলাদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভ্রা দাস জানান, মুলাদী পৌরসভার রাস্তা সংস্কারের জন্য গাছগুলো অপসারণের আবেদন করা হয়েছে। গাছগুলো দরপত্র আহ্বান করে বিক্রি করতে অনেক সময়ের প্রয়োজন। তাই জেলা প্রশাসককে অবহিত করে এবং উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় বিষয়টি উত্থাপন করে গাছগুলোর দাম নির্ধারণ করে একজনের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। সেই টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হবে।
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মাইনুল আহসান সবুজ জানান, উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় গাছ বিক্রি কিংবা কর্তনের বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
এব্যাপারে বরিশালের জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান জানান, মুলাদী উপজেলা প্রশাসনের গাছ বিক্রির বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।