মেহেন্দিগঞ্জে দূর্গা প্রতিমা ভাঙচুর

মেহেন্দিগঞ্জে দূর্গা প্রতিমা ভাঙচুর

বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার কাশিপুর দুর্গা মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে। তবে রাতের বেলায় কে বা কারা এই প্রতিমা ভাঙচুর করেছে স্থানীয় কেউ বলতে পারেনি বলে জানিয়েছেন বরিশাল জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মানিক মুখার্জি।

রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালের দিকে উপজেলার চাঁনপুর ইউনিয়নের কাশিপুর দুর্গা মন্দিরে স্থানীয়রা মন্দিরে প্রবেশে করে ভাঙা অবস্থায় দেখতে পায় প্রতিমা।

মন্দির কমিটির সভাপতি দিলীপ ঢালী জানিয়েছেন,‘ এ ঘটনার পরে বিভিন্ন স্থান থেকে সাংবাদিক, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দসহ পুলিশ প্রশাসন পরিদর্শন করেছেন।’ তবে থানা থেকে মন্দির আঙিনায় আরো বেশি নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেছে বলে জানান তিনি।

এদিকে ঘটানা জানা-জানির ১৫/১৬ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও থানায় কোন মালালা দায়ের হয়নি। মন্দির কমিটির মিটিং শেষে মামলার বিষয়ে চুরান্ত সিধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মন্দির সভাপতি দিলীপ ঢালী।

মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাদল কৃষ্ণ পাল জানান, কাশিপুর মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক তারা ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেন। মন্দিরের বেশ কয়েকটি প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বরিশাল জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মানিক মুখার্জি বলেন, মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার চাদপুরের কাশিপুর এলাকার কাশিপুর দুর্গা মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানাই।

তিনি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন, আমাদের পূজা উদযাপন পরিষদের স্থানীয় নেতারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

মেহেন্দিগঞ্জ থানার এস.আই রফিকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সত্যতা পেয়েছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে মেহেন্দিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম  ভোরের আলোকে বলেন, ‘মন্দিরে প্রতিমা নির্মাণ করার পরে একটি পর্দা দেওয়া ছিলো। পরে সকালে স্থানিয়রা ও মন্দির কতৃপক্ষ গিয়ে দেখে একটি প্রতিমার মাথা নেই। এছাড়া আশ পাশের প্রতিমার কিছু স্থানে ভাঙা পাওয়া গেছে।’

প্রাথমিক তদন্তের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘হয়তো এই ঘটনাটি কেউ ইচ্ছাকৃত ভাবে করেছে; তেমনটি আমাদের মনে হয়েছে। তবে এখনও কোন লিখিত অভিযোগ/মালালা হয়নি। মন্দির কমিটিও এ বিষয়ে কিছু জানায়নি। আমরা আমাদের তদন্তের কাজ পরিচালনা করছি। যেই ব্যক্তি এমন কাজ করেছে তাকে আমারা অবশ্যই গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসবে।#