ভোলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে ভোলায় বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঝড়ো বাতাস বইতে শুরু করেছে। ফলে উত্তাল হয়ে উঠেছে নদ-নদী। এছাড়া প্রবল জোয়ারে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচর ও চর পাতিলা এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন অন্তত মানুষ।
জেলার ২১টি ঝূঁকিপূর্ণ দ্বীপচর থেকে তিন লাখ ১৬ হাজার বাসিন্দাকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া এক লাখ ৩৬ হাজার গবাদিপশুকেও নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২০ মে) ভোলার জেলা প্রশাসন মাসুদ আলম ছিদ্দিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, দ্বীপচরের মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনতে কাজ চলছে। দুপুর পর্যন্ত জেলায় আট মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।এদিকে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্রে গড়ে ২০০ জন করে রাখা হয়েছে। সেখানে আবস্থারতদের জন্য খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু, প্রতিবন্ধী, গর্ভবতী নারী ও বয়স্কদের জন্য আলাদা টিমের সদস্যরা সহযোগিতা করছেন। ঝূঁকিপূর্ণ চরে বাসিন্দাদের আনার কাজ চলমান রয়েছে।
উপকূলীয় এলাকায় মাইকিং করছেন সিপিপি ও রেড ক্রিসেন্টের কর্মীরা। নিরাপদে চলে এসেছে মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার। এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় কাজ করছে সিপিপির ১০ হাজার ২০০ স্বেচ্ছাসেবী ও ৭৯টি মেডিক্যাল টিম। জেলা পুলিশ ও কোস্টগার্ড সদস্যরা জেলা প্রশাসনকে সহযোগিতা করছেন।