যমুনা নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলনের চাঞ্চল্যকর তথ্য

যমুনা নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলনের চাঞ্চল্যকর তথ্য

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার ঝুঁকিপূর্ণ যমুনা নদীর ‘ডেঞ্জার জোন’ থেকে একটি প্রভাবশালী চক্র অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় এই চক্র প্রতিদিন প্রায় ২০ লাখ টাকা ভাগাভাগি করছে।

জানা গেছে, মানিকগঞ্জ জেলার স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার এই বালুমহালের অবৈধ নিয়ন্ত্রণে ছিলেন। তবে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি পলাতক হয়ে যান। এরপরই তাসলিমা আবেদীন নামের এক মহিলার সঙ্গে গোপনে ইজারা চুক্তিপত্র সম্পাদন করেন। তাসলিমা আনসার-ভিডিপির পরিচালক আম্মার হোসেনের স্ত্রী।

এই অপকর্মের নেপথ্যে রয়েছেন ফরিদপুর নৌ পুলিশের এসপি আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বেলাল হোসেন। বিগত সরকারের সঙ্গে সম্পর্কের কারণে এই বালুমহাল অবৈধভাবে পরিচালনা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায়, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইউএনও বেলাল হোসেনের দায়িত্বে এই অবৈধ বালুমহাল উচ্ছেদ করার কথা। তবে, পলাতক নেতা আবুল বাশারের সঙ্গে পূর্বের সম্পর্কের কারণে উচ্ছেদ অভিযান ব্যাহত হচ্ছে।

যমুনা নদীর এই ঝুঁকিপূর্ণ অংশে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের গুরুত্বপূর্ণ টাওয়ারগুলোর নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে এবং নদীভাঙনও বেড়েছে।

দুদক ও স্থানীয় প্রশাসনের একাধিকবার অভিযোগ উঠলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। জেলা প্রশাসক ড. মনোয়ার হোসেন বলেন, অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শিবালয়ের ইউএনও বেলাল হোসেন দাবি করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। তবে স্থানীয়রা বলছেন, ড্রেজার চালু করে বালু উত্তোলন বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আরও সজাগ হওয়া প্রয়োজন।