রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে চৌকা সীমান্তে ভারতীয় হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চৌকা সীমান্তে ভারতীয় নাগরিকদের হামলার প্রতিবাদে শনিবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
সন্ধ্যা সাড়ে আটটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটের আমতলা চত্বর থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলক চত্বরে এসে শেষ হয়। এরপর সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয় ‘আগ্রাসন বিরোধী ছাত্র-জনতা’ ব্যানারে।
বিক্ষোভ চলাকালে শিক্ষার্থীরা ‘ভারতীয় আগ্রাসন রুখে দাও’, ‘বিএসএফ হামলা করে, বিজিবি কী করে’, ‘সীমান্তে হামলা হলে, জবাব দিবে বাংলাদেশ’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
সমাবেশে বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি শাকিল হোসেন, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রাকিব হোসেন এবং ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান মারুফ বক্তব্য রাখেনশাকিল হোসেন বলেন, "ভারতীয় আধিপত্যের নজির বারবার দেখতে পাচ্ছি। ফেলানী হত্যা থেকে জয়ন্ত দাস পর্যন্ত সীমান্তে প্রতিটি হত্যাকাণ্ড প্রমাণ করে ভারত আমাদের ওপর আধিপত্য কায়েম করেছে। আমাদের লড়াই ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে।"
মেহেদী হাসান মারুফ বলেন, "বিএসএফের মদদে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা এই হামলা চালিয়েছে। সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের জন্য ভারতকে জবাবদিহি করতে হবে। সরকারকে অবিলম্বে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে ডেকে এর জবাব চাইতে হবে।"
রাকিব হোসেন অভিযোগ করেন, "ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় যেমন ভারতীয় আধিপত্য দেখা গেছে, তেমনই বর্তমান সরকারও কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। সীমান্তে যত হত্যাকাণ্ড হয়েছে, সবগুলোর বিচার করতে হবে।"
রাত ৯টায় ‘গণঅভ্যুত্থান মঞ্চ’ ব্যানারে আরেকটি বিক্ষোভ মিছিল হয়। শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বর থেকে শুরু হওয়া মিছিলে সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন শিক্ষার্থীরা।
সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলগুলোতে অংশগ্রহণকারীরা সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।