"ডাকসু গঠনতন্ত্র সংস্কারে ছাত্র সংগঠনগুলোর প্রস্তাব: ক্ষমতা হ্রাস ও নতুন পদের দাবি"

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের আগে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন গঠনতন্ত্র সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং ইসলামী ছাত্রশিবির ইতোমধ্যে প্রস্তাব জমা দিয়েছে। ছাত্রদলও শিগগিরই তাদের সংস্কার প্রস্তাব উপস্থাপন করবে।
প্রস্তাবগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ডাকসুর সভাপতির পদে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ক্ষমতা কমানো এবং শিক্ষার্থীদের সরাসরি ভোটে সভাপতি নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। পাশাপাশি, নতুন কয়েকটি পদ সংযোজনের প্রস্তাবও এসেছে।
ডাকসুর গঠনতন্ত্র প্রথম অনুমোদিত হয় ১৯২৫ সালের ৩০ অক্টোবর। এরপর ১৯৩৯, ১৯৫৩, ১৯৯১, ১৯৯৮ এবং ২০১৯ সালে এটি সংশোধিত হয়। ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ নির্বাচনের পর দীর্ঘ পাঁচ বছর পর নতুন নির্বাচনের ঘোষণা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
মঙ্গলবার সংগঠনটি তাদের প্রস্তাব জমা দেয়। এতে বলা হয়, ডাকসুর সভাপতি পদে উপাচার্যের সরাসরি ক্ষমতা রাখা যাবে না। পরিবর্তে, শিক্ষকদের সমন্বয়ে একটি উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা যেতে পারে, যেখানে উপাচার্য প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে থাকবেন।
প্রস্তাবে আরও বলা হয়, সহসভাপতি (ভিপি) পদটি বাতিল করে সরাসরি সভাপতি নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি, ভোটার এবং প্রার্থী হওয়া শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ সময়সীমা নির্ধারণ করা উচিত। প্রস্তাব অনুযায়ী, ভর্তির পর সাত বছরের মধ্যে শিক্ষার্থীরা এই অধিকার পাবে।
ছাত্রদলের পক্ষ থেকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নেতা জানান, তারা উপাচার্যের ক্ষমতা সীমিত করার এবং সভাপতির পদ সরাসরি শিক্ষার্থীদের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচনের প্রস্তাব দেবেন।
তারা আরও প্রস্তাব করবে, আবাসিক শিক্ষার্থীদের হলে এবং অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিভাগ বা ইনস্টিটিউটে ভোটকেন্দ্র স্থাপন করতে।
ছাত্র সংগঠনগুলোর এসব প্রস্তাব নিয়ে ইতোমধ্যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক নেতা বলেছেন, ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার প্রবণতা বন্ধ করে গণতান্ত্রিক সংস্কার আনতে হবে।
ডাকসু নির্বাচনের আগে গঠনতন্ত্র সংস্কার নিয়ে ছাত্র সংগঠনগুলোর এই উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের জন্য কী পরিবর্তন আনতে পারে, তা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে আলোচনা চলছে।