রাবির প্রশাসনিক ভবন অবরুদ্ধ

রাবির প্রশাসনিক ভবন অবরুদ্ধ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ কার্যক্রম কেন বন্ধ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কেন ১৯৭৩ এর অধ্যাদেশ সমুন্নত রাখতে পারেননি তার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন করছেন ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান কমিটির চাকরিপ্রত্যাশী নেতাকর্মীরা। 

উপাচার্যের বাসভবনে তালা ঝুলিয়ে অবরুদ্ধ করার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি প্রশাসন ভবনেও তালা লাগিয়েছেন তারা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবন দুটি অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম। প্রশাসন ভবনে ঢুকতে পারছে না কোনো প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী।

এর আগে গত সোমবার রাত ৯ টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক আবদুস সোবাহান ও প্রশাসন ভবন দুটিতে তালা লাগিয়ে দেন তারা। অবরোধের ১২ ঘন্টা অতিক্রম হলেও এখনও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
আন্দোলনকারীদের অন্যতম রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ইলিয়াস হোসেন জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয় 'প্রশাসনিক' কারণ দেখিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ রেখেছেন। সেই 'প্রশাসনিক' কারণটা কি?  আমরা তার স্পষ্ট ব্যাখ্যা চাই। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য যদি দুর্নীতি করে থাকেন, তাহলে তার দুর্নীতির কেন বিচার হচ্ছে না? একজন দুর্নীতিবাজ উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয় দায়িত্বে থাকতে পারেন না। অথচ উপাচার্য দায়িত্বে আছেন কিন্তু নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় কেন এটা করেছে আমরা তার ব্যাখ্যাও দাবি করছি।

তিনি আরো বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার জন্য ১৯৭৩ এর যে এ্যাক্ট রয়েছে সেই এ্যাক্ট উপাচার্য কেন সমুন্নত রাখতে পারেননি, সেই ব্যাখ্যাও না দেওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব। অনির্দিষ্টকালের জন্য উপাচার্য তার নিজ বাসভবনে অবরুদ্ধ হয়ে থাকবেন এবং প্রশাসন ভবন দুটিও তালাবদ্ধ থাকবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, আন্দোলনকারীরা প্রশাসন ভবন তালাবদ্ধ করে রাখার কারণে আপাতত প্রশাসনিক কার্যক্রম চালানো যাচ্ছে না। হয়তো উপাচার্য তার বাসভবনেই প্রশাসনিক কার্যক্রম চালানোর চেষ্টা করবেন।


ভোরের আলো/ভিঅ/১২/০১/২০২১