লঞ্চ-বাসে মাস্ক পড়তে বললে বিরক্ত হচ্ছে যাত্রীরা

লঞ্চ-বাসে মাস্ক পড়তে বললে বিরক্ত হচ্ছে যাত্রীরা

সারা দেশের মতো বরিশালেও ২২ দিন পর সিমীত পরিসরে লঞ্চ-বাস চলাচল শুরু হয়েছে। গতকাল প্রথম দিন স্বাস্থ্য বিধি মেনে ধারন ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে লঞ্চ ও বাস পরিচালনার চেস্টা করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে যাত্রীরা অনেক ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য বিধি উপেক্ষা করছে। আবার কেউ কেউ স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলাচলে নিরাপদ বোধ করছেন। 

সরকার ৮ দিনের জন্য লকডাউন শিথিল করে স্বাস্থ্য বিধি মেনে গনপরিবহন চলাচলের নির্দেশনা দিয়েছে। এই ঘোষনার প্রেক্ষিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বরিশাল নদী বন্দর থেকে স্থানীয় ও অভ্যন্তরীন রুটের লঞ্চ চলাচল শুরু হয়। ঢাকাগামী দূরপাল্লার লঞ্চগুলো গন্তব্যে ছেড়ে যায় রাতে। 

সকালে বরিশাল নদী বন্দরে গিয়ে দেখা গেছে, দির্ঘ ২২ দিন পর লকডাউন শিথিল করায় খুশী লঞ্চের কর্মচারী ও শ্রমিকরা। তাদের হাকডাকে মুখর বরিশাল নদী বন্দর। অনেক দিন পর নৌ যান চলাচল শুরু হওয়ায়  গতকাল প্রথম দিন যাত্রীদেরও অনেক চাপ দেখা গেছে। প্রতিটি লঞ্চে সামাজিক দূরত্ব রক্ষার চেস্টা করা হয়।  এছাড়া মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারে যাত্রীদের তাগাদা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু অনেক যাত্রী এতে বিরক্ত প্রকাশ করছে। তবে কিছু যাত্রী স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন। 

যাত্রীরা যাই বলুক না কেন লঞ্চ কর্তৃপক্ষ নিজেদের এবং যাত্রীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় তৎপরতা চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন। ধারন ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী বহনের সরকারি নির্দেশনার কারনে লঞ্চ ভাড়া বাড়লেও এ নিয়ে অভিযোগ নেই কারোর। তারা গন্তব্যে যেতে পেরেই খুশী। 

সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্য বিধি উপেক্ষা করলে সংশ্লিস্ট লঞ্চ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছেন বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক (বন্দর ও পরিবহন) মো. মোস্তাফিজুর রহমান। 

এদিকে লঞ্চের মতো বাসেও ধারন ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী বহন করে স্বাস্থ্য বিধি রক্ষার চেস্টা করা হচ্ছে। তবে বরিশালে চলাচলরত থ্রি হুইলার যানবাহনে সামাজিক দূরত্ব রক্ষার বালাই নেই। এ বিষয়ে পুলিশেরও তেমন কোন নজরদারী দেখা যায়নি।