বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বাড়ি পাঠানো শুরু

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বাড়ি পাঠানো শুরু

বরিশালে কঠোর লকডাউনে আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থায় বাড়ি পাঠানো শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম দিন সকালে বরগুনা, বাগেরহাট, যশোর এবং নাটোর-বগুড়া ও  রংপুরের উদ্দেশ্যে মোট ৬টি বাস ছেড়ে যায়। আজ শুক্রবার দ্বিতীয় দিন বিভিন্ন রুটে আরও ১২টি বাস ছেড়ে যাবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সুব্রত কুমার দাস। 

তিনি জানান, স-শরীরে পরীক্ষা দিতে এসে কঠোর লকডাউনে আটকে পড়েছিলো বিশ^বিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবীর প্রেক্ষিতে বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থায় তাদের বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে। 

গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম দিন সকালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে পটুয়াখালী হয়ে বরগুনার আমতলী পর্যন্ত ২টি, বরিশাল-ঝালকাঠী-পিরোজপুর-বাগেরহাট পর্যন্ত ১টি, বরিশাল থেকে যশোর পর্যন্ত ২টি এবং ১টি বাস বরিশাল-নাটোর-বগুড়া-রংপুর রুটে ছেড়ে যায়। ৬টি বাসে গতকাল মোট ২৪৩ জন শিক্ষার্থীকে বাসে বাড়ি পাঠানো হয়। 

আজ শুক্রবার দ্বিতীয় দিন সকালে ক্যাম্পাস থেকে সরাসরি খুলনার উদ্দেশ্যে ৩টি, সাতক্ষীরার উদ্দেশ্যে ৩টি, মাগুরা-ঝিনাইদহের উদ্দেশ্যে ২টি, কুস্টিয়ার উদ্দেশ্যে ১টি, ফরিদপুর-রাজবাড়ির উদ্দেশ্যে ২টি এবং গোপালগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে ১টি বাস। 

প্রক্টর আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ৭টি বাস এবং বিআরটিসি’র ভাড়া করা ২টি ডাবল ডেকার সহ ৫টি বাস শিক্ষার্থীদের পরিবহনে নিয়োজিত করা হয়েছে। 

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পরিবহন ব্যবস্থায় বাড়ি ফেরা শিক্ষার্থীদের জন্য ৫ দফা নির্দেশনা জারী করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এগুলো হলো বাসে ওঠার সময় শিক্ষার্থীদেরকে অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয়পত্র প্রদর্শন করতে হবে, বাসে ওঠার আগে শিক্ষার্থীদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করে নিতে হবে এবং কারোর করোনা উপসর্গ থাকলে তার যাত্রা পরিহার করতে হবে, যাত্রাকালীন অবস্থায় নাক-মুখ ঢেকে রেখে মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক, বড় লাগেজ ও ব্যাগ পরিহার করতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে মালামাল ও লাগেজ পরিবহণের জন্য বক্স সুবিধা না থাকায় ব্যাগ সাথে রাখতে হবে এবং পথিমধ্যে চালকের মনযোগ নষ্ট হতে পারে এমন কর্মকান্ড (গান বাজনা ও নাচানাচি ইত্যাদি) পরিহার করতে হবে। 

লকডাউনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থায় বাড়ি ফিরতে পেরে খুশী শিক্ষার্থীরা। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। 

বিশ^বিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ইমরুল কায়েস বলেন, লকডাউন শিথিল হলেও দ্বিগুন ভাড়া দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফিরতে হতো। গণপরিবহনে যাতায়াত করলে অনেক শিক্ষার্থীর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকতো। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের করোনা ঝূঁকি থেকে রক্ষা করে বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করায় উপাচার্যকে ধন্যবাদ জানান তিনি সহ পরিবহন সুবিধা নেয়া অন্যান্য শিক্ষার্থীরা।