লাখো মোমবাতি জ্বালিয়ে ভাষা শহীদদের স্মরণ

নড়াইলে লাখো মোমবাতি জ্বালিয়ে ভাষা শহীদদের স্মরণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে ভাষা দিবসের ৬৯তম বার্ষিকীতে ৬৯টি ফানুস ওড়ানো হয়। এবারের আয়োজনটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে তার নামে উৎসর্গ করা হয়েছে।
শুক্রবার ২১শে ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় শহরের কুরিরডোব মাঠে ব্যতিক্রমধর্মী এ স্মরণানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
একুশের আলো উদ্যাপন পর্ষদের আয়োজনে এদিন সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে পশ্চিম আকাশে অন্ধকার নেমে আসার সঙ্গে সঙ্গে মোমবাতি জ্বালিয়ে স্মরণানুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি নড়াইল জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা, বিশেষ অতিথি পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দিন (পিপিএম বার), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইয়ারুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন খান নিলু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুর রহমান হিলু, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মলয় কুমার কণ্ডু, উদ্যাপন পর্ষদের সভাপতি প্রফেসর মুনশি হাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক কচি খন্দকার প্রমুখ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর পরই হাজারো স্বেচ্ছাসেবক একযোগে মাঠজুড়ে মোমবাতি প্রজ্বলনের কাজ শুরু করেন। মোমবাতির আলোতে কিছুক্ষণের মধ্যেই পুরো মাঠটি অন্ধকারকে ভেদ করে আলোকিত হয়ে ওঠে।
আয়োজক কমিটির সদস্য নাজমুল হাসান লিজা জানান, ৬ একরের বিশাল কুররডোব মাঠে অন্যান্য বারের মতো এবারও কলার গাছ এবং কাঠ দিয়ে শহীদ মিনার ও জাতীয় স্মৃতি সৌধ, বাংলা বর্ণমালা ও বিভিন্ন আলপনা তুলে ধরা হয়।
এ সময় ‘আমার ভাইয়ের রক্ত রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ গান ছাড়াও দেশাত্মবোধক সংগীত পরিবেশন করেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটসহ অন্যান্য শিল্পীরা। নান্দনিক এ অনুষ্ঠানটি নড়াইল এবং বিভিন্ন জেলার হাজার হাজার দর্শক উপভোগ করে ।
আয়োজক কমিটির সদস্য শাহেদ আলী শান্ত জানান, ১৯৯৮ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি নড়াইলে ব্যতিক্রমী এই অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। এ আয়োজন সফল করতে ১ মাস আগে থেকে সাংস্কৃতিক কর্মী, স্বেচ্ছাসেবক ও শ্রমিকরা কাজ শুরু করে। তিন শতাধিক পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবক মাঠের চারপার্শ্বের সার্বিক নিরাপত্তা রক্ষা করেন।
একুশের আলো উদ্যাপন পর্ষদের সদস্যসচিব নাট্য অভিনেতা কচি খন্দকার বলেন, সমাজ থেকে কুসংস্কার দুর করতে অন্ধকার থেকে সমাজকে আলোকিত করতেই আমাদের এই আয়োজন।