শান্তি অব্যাহত থাকুক

প্রকৃতিতে শরতের আবেশ বইছে। রাতে নির্মল চাঁদের হাসি। এক অপরূপ ¯িœগ্ধ, শান্ত ও মনোরম পরিবেশ। মনে হচ্ছে অবিরত শান্তির সুবাতস বইছে। ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশের ঋতুরাজ বসন্তের পরই বোধহয় শরতের অবস্থান। কবি-সাহিত্যিকদের কলমে তাই বসন্তের পরই শরত বন্দনা বেশি ফুটে ওঠে। এই শরতের কোন এক রাতে হঠাৎ চাঁদের হাসি থামিয়ে কেন কান্না জুড়ে দেয়। অনাকাঙ্খিত ঘটনায় বরিশালের নির্মল, শান্ত ও শান্তির রাজপথ অশান্ত হয়ে ওঠে। ভুল বোঝাবুঝির অবসান হওয়ার আগে অর্ধশত মানুষ আহত হয়। চোখ নিয়ে শঙ্কায় আছে তিনজন। কেন শান্ত প্রকৃতি অশান্ত হলো? কেন শরতের নির্মল চাঁদের আলো কালো তিলকে ছেয়ে গেল, সেই প্রশ্ন অনেকের মনে আছে এবং থাকবে। কিন্তু আমরা বলতে চাই কালোর থবা কখনো স্থায়ী নয়। এখনো শরত তাঁর আলোতে নির্মল করছে বরিশালসহ গোটা পৃথিবী। তাই বলতে চাই, কাঙ্খিত অনাকাঙ্খিত ঘটনাকে সামনে না রেখে ওটাকে পেছছে ছুড়ে দেই। আমরা শান্ত ও শান্তির পথে হাঁটি। আমাদের শান্তি অব্যাহত থাকুক।
কবি বলেছেন, ‘কে আবার বাজায় বাঁশি, এ ভাঙা কুঞ্জপথে...’।
অকস্মাৎ কিছু সময়ের জন্য এলোমেলো হয়ে যাওয়া কুঞ্জপথে বাঁশির সুরই বড় প্রয়োজন। তুচ্ছ ঘটনায় গত ১৮ আগস্টের একটি তিলক আমাদের হতবিহ্বল করে দিয়েছে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই একের পর এক অঘটন ঘটে চলে। সেই ঘটনাগুলো সবার জানা। কিন্তু পরবর্তী সময় ঘটনাপ্রবাহ বন্ধ করার জন্য সরকার ইতিবাচক উদ্যোগ গ্রহণ করায় উষ্ণ মরুর বুকে শীতল পরশ বইয়ে দেয়। বড় ধরণের অপ্রীতিকর ও অনভিপ্রেত সব পথ বন্ধ করা হয়। সরকার, প্রশাসন সিটি করপোরেশন এবং আওয়ামী লীগ সমঝোতায় বসে ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটনা। তারই প্রেক্ষিতে গতকাল দুই মামলায় গেপ্তারকৃতদের মধ্যে ১২জনকে জামিনে মুক্তি দেয় আদালত। ওই মামলার অন্যান্য আসামীরাও পর্যায়ক্রমে জামিনে মুক্তি পাবেন এমন প্রত্যাশা সবার।
শান্তির নগর বরিশালে কোনভাবেই যেন অশান্তির আগাছা বিস্তার করতে না পারে সেজন্য সরকার, রাজনীতি, প্রশাসন এবং নাগরিকদের মধ্যে সন্ধি থাকা বাঞ্ছনীয়। আমরা বলতে চাই, যে কারণেই সেদিন ওই ঘটনা ঘটেছে সেটা কোনভাবেই কাম্য নয়। ওই ঘটনা থেকে যেন আমরা সবাই শিক্ষা গ্রহণ করি। তাহলে অবশ্যই জীবনানন্দের শহর বরিশালে অবশ্যই শরতের মতোই নির্মল আলোয় চাঁদের হাসি হেসে থাকবে।