শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটির আওতায়

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটির আওতায়

করোনা ভাইরাসের কবল থেকে দেশবাসীকে মুক্ত রাখতে সবকিছু বন্ধ রেখেছে সরকার। সাধারণ ছুটি ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত বৃদ্ধি করে আদেশ জারি করেছে আজ ৫ এপ্রিল। ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষের জন্য পূর্বঘোষিত সরকারি ছুটি। সে হিসেবে ছুটির মেয়াদ ১৪ এপ্রিল পর্যন্তই বাড়লো। ১২ ও ১৩ এপ্রিল সাধারণ ছুটির সাথে ও ১৪ পহেলা বৈশাখের জন্য সরকারি ছুটি আওতায় দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সে হিসেবে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়লো।  রোববার (৫ এপ্রিল) এমন কথা জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র। যদিও সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর নতুন করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণার দরকার হয়না। তবুও সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর বা তার পরেরদিন এ বিষয়ে আলাদা পরিপত্র জারি হতে পারে।

 

গত ১৮ মার্চ থেকে বন্ধ থাকা দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি শেষ হওয়ার কথা ছিল আগামী ৯ এপ্রিল। এছাড়া ১০ ও ১১ এপ্রিল  যথাক্রমে শুক্র ও শনিবার। ১২ ও ১৩ এপ্রিল সাধারণ ছুটির ও ১৪ এপ্রিল সরকারি ছুটি হওয়ার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বৃদ্ধি পেল। 

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি ১৪ এপ্রিলের পরও বাড়ানো হবে কি না সে নির্দেশনা সরকারের শীর্ষপর্যায় থেকে আসবে বলে জানান শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। করোনার আক্রমণ ও সার্বিক পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। 

রোববার (৫ এপ্রিল) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ১২ ও ১৩ এপ্রিল সাধারণ ছুটি ঘোষ্ণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ছুটির মেয়াদ ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ছে বলেও প্রজ্ঞাপনে পরিষ্কার করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটির ধারাবাহিকতায় আগামী ১২ ও ১৩ এপ্রিল সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলো। ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষে নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি এর সাথে সংযুক্ত থাকবে। 

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, জরুরি পরিসেবার যেমন, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট ইত্যাদি ক্ষেত্রে এ ব্যবস্থা প্রযোজ্য হবে না। কৃষি পণ্য, সার, কাটিনাশক, খাদ্য, শিল্প পণ্য, চিকিৎসা সরঞ্জামাদি, জরুরি ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহন এবং কাঁচা বাজার, খাবার, ঔষধের দোকান ও হাসপাতাল এ ছুটির আওতার বাইরে ল থাকবে। জরুরি প্রয়োজনে অফিস খোলা রাখা যাবে। প্রয়োজনে ঔষধ শিল্প, উৎপাদন ও রপ্তানিমুখী শিল্প কলকারখানা চালু রাখতে পারবে। মানুষের জীবন জীবিকার স্বার্থে রিক্সা ভ্যানসহ যানবাহন, রেল, বাস পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে। 

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, জনগণের প্রয়োজন বিবেচনায় ছুটির সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক সীমিত আকারে ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু রাখার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেৰে।

এর আগে গত রোববার ১১ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটির মেয়াদ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। আর ৯ এপ্রিল পর্যন্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল।