শুদ্ধি অভিযান জরুরি

ক্যাসিনো কাণ্ডের সময় কয়েকদিন খুব টেনশনে ছিল রাজধানী থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যায়ের সকল লুটেরারা। অনেকেই রাজত্ব ফেলে দিয়ে, বিদেশ (ইন্ডিয়া) চলে যাচ্ছিল!
হঠাৎ তারা সিগনাল পেয়ে গেল 'সমস্যা নাই'! তারা আবার রাজত্ব হাতে নিয়ে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে, জনসেবা শুরু করলেন।
পাঁচ ছয়জনের পদচ্যুতি আর তিন চার জন গ্রেফতারের পর যদি শুদ্ধি অভিযানে কোন বিরতি না আসতো, তাহলে অনেক কিছুই হতো না এবং অনেক কিছুই হতো।
অন্তত জনপ্রতিনিধিদের ত্রাণ কেলেঙ্কারি, করোনা সার্টিফিকেট কেলেঙ্কারি এগুলো দেখতে হতো না।
এমপি পাপুল যা করেছে , সেই অপরাধের সাথে কুয়েতের আর্মি জেনারেল, কুয়েতি এমপি ইত্যাদি জড়িত, তাছাড়া সে আওয়ামী লীগের দলীয় এমপিও না, এটা একভাবে পাস কাটানো যায়।
কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত দুইটি প্রতিষ্ঠান করোনার জাল সার্টিফিকেট বিক্রির বিষয়টি, একটি বড় শিক্ষা হওয়া উচিত।
নীতি, আদর্শহীন অর্থলোভী মানুষেরা, তাদের চিন্তার মানুষদের খুঁজে নেয়! এদের প্রধান গুণ হচ্ছে, এরা লজ্জাহীন। এরা চোর এবং ওই জাতীয় মানুষকে তাদের পাশে বসাতে, সাথে হাঁটাতে লজ্জা পায় না!
মানুষের মাথায় যখন দুর্নীতির চিন্তা কাজ করে, কাউকে যখন লোভ পেয়ে বসে, তখন সে অযোগ্য, অথর্ব, চোর, মাদক ব্যবসায়ী, চোরাকারবারি, প্রতারক প্রকৃতির লোকদের পাশে বসিয়ে বরং স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে! কারণ এরা নেতাকে কিছু দিতে আসে, কিছু চাইতে আসে না!
ইতালি থেকে প্রায় সকল যাত্রী ফেরত আসা, সৌদিতে আমাদের বিমানের জরিমানা হওয়া, নিউ ইয়র্ক টাইমসে বাংলাদেশ নিয়ে বাজে সংবাদ হওয়ার পরও, যেমন চলছিল তেমনই সব চলতে থাকতে পারে না।
সরকারের এত এত উন্নয়ন, কিছু মানুষের স্বার্থচিন্তার জন্য, অপকর্মের জন্য ম্লান হয়ে যেতে পারে না।
সুশাসনের বিকল্প খোঁজা উচিত নয়। কারণ সুশাসনের বিকল্প কিছু নেই। সুশাসন না থাকলে উন্নয়নকেও অর্থহীন মনে হয়।
নেতারা এখন দুনীতি বিরোধী বক্তব্য রাখলে মানুষ মুখ ঘুরিয়ে হাসে। দুদকের শ্লোগানের উপর মানুষের আস্থা কতটা তাতো খুবই দৃশ্যমান! দুদক অভিযান করবে শুনলে, বুক থেকে কেন যেনো একটি দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে যায়!
ভোরের আলো/ভিঅ/২০/২০২০