শেবাচিমের সকল গেটে তালা দিয়ে ধর্মঘটে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা

বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শেবাচিম) জরুরী বিভাগ সহ সব গেট আটকে অনির্দিস্টকালের ধর্মঘট শুরু করেছে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। হাসপাতালের ইন্টার্ন ডক্টরস এসোসিয়েশনের সভাপতি সজল পান্ডে এবং সাধারন সম্পাদক তারিকুল ইসলামের নেতৃত্বে কোন পূর্ব ঘোষনা ছাড়াই বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টাবর) দিবাগত রাত ১২টা থেকে জরুরী বিভাগের গেটে তালা ঝুলিয়ে ধর্মঘট শুরু করেন তারা। এ সময় ডায়াগনস্টিক কমিশনে অভিযুক্ত ডা. মাসুদের বিচার দাবিতে নানা শ্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মতো অতিগুরুত্বপূর্ন গেট আটকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের আন্দোলনের কারনে চরম বেকায়দায় পড়েছে রোগী ও তাদের স্বজনরা।
ডাগায়নস্টিক সেন্টারের কমিশন ভাগাভাগি নিয়ে গত ২০ অক্টোবর মেডিকেলের মেডিসিন বিভাগের ইউনিট-৩ এর সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. মাসুদ খানকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ ওঠে ইন্টার্নদের চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ২১ অক্টোবর কয়েকজন ইন্টার্ন চিকিৎসকের নামোল্লেখ করে হাসপাতালের পরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ডা. মাসুদ। পরদিন ২২ অক্টোবর ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ডা. মাসুদের বিরুদ্ধে ডায়াগনস্টিকের কমিশন আদায়, নারী সহকর্মীদের সাথে অশালীন আচরন, সিনিয়দের সাথে ঔদ্ধত্য প্রদর্শন এবং ইন্টার্নদের ভাতা আটকে রাখার অভিযোগে পরিচালকের কাছে স্মারকলিপি দেয়।
উভয় পক্ষের অভিযোগ তদন্তের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওইদিনই ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেন। কমিটিকে পরবর্তী ৫ কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হলেও এখন পর্যন্ত রিপোর্ট আলোরমুখ দেখেনি।
অভিযোগের বিচার না পাওয়া সহ অভিযুক্তের বিচার দাবীতে গতকাল রাত ১২টা থেকে জরুরী বিভাগের গেট সহ হাসপাতালের সকল গেটে তালা ঝুলিয়ে অনির্দিস্টকালের ধর্মঘট শুরু করেন ইন্টার্নরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে ঘোষনা দিয়েছেন হাসপাতালের নব গঠিত ইন্টার্ন ডক্টরস এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক ডা. তারিকুল ইসলাম।
এদিকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগ সহ সব গেট আটকে ইন্টার্ন ধর্মঘট শুরু হওয়ায় বেকায়দায় পড়েছেন জরুরী সহ সব ধরনের রোগী ও তাদের স্বজন এবং হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। রোগীদের দুর্ভোগের বিষয়টি স্থানীয় শীর্ষ রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক মহলে অবহিত করেছেন সাংবাদিকরা।
ভোরের আলো/ভিঅ/৩০/২০২০