বরগুনায় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে নারী নির্যাতনের মামলা

বরগুনায় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে নারী নির্যাতনের মামলা

পুলিশ সদস্য স্ত্রীকে নির্যাতন করে গর্ভের সন্তান নস্ট করার অভিযোগের মামলা বরগুনা থানায় না নেওয়ায় ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছে নির্যাতনের শিকার স্ত্রীর মা হেলেনা বেগম। বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো: হাফিজুর রহমান বুধবার মামলাটি গ্রহন করে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার আসামীরা হল, বরগুনা সদর উপজেলার আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের লেমুয়া গ্রামের মোস্তফা গাজীর ছেলে তাজুল ইসলাম রুবেল। তার বাবা মোস্তফা গাজী ও মা সাহানা বেগম। রুবেল ঢাকা মোহাম্মদপুর থানায় কনেস্টবল পদে কর্মরত।

জানা যায়, একই উপজেলার উত্তর কদমতলা গ্রামের অবসর প্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মনিরুল ইসলামের মেয়ে সুমি আকতারকে ২০১৫ সালে রুবেলের সঙ্গে বিয়ে দেয় রুবেলের সঙ্গে। রুবেল  ছুটি নিয়ে তার গ্রামের বাড়ীতে এসে ৫ আগস্ট সকাল ৯ টায় তার বসত ঘরে বসে চাকরীর প্রমোশনের জন্য পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে সুমির নিকট। সুমি যৌতুক দিতে অস্বীকার করলে উত্তেজিত হয়ে প্রথমে রুবেল সুমির তলপেটে লাথি মারে। রুবেলের বাবা মোস্তফা গাজী ও মা সাহানা বেগমও সুমিকে বেধড়ক মারধর করে রক্তাক্ত করে। সুমির ডাক চিৎকারে কেহ এগিয়ে আসেনি। পরে সুমির বাবা মনিরুল ইসলাম, মামা বশির গাজী, মামুন গাজী ও জলিল ফকির রুবেলের বাড়ী থেকে সুমিকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়। একদিন পর সুমির রক্তপাত শুরু হয়। ৮ আগস্ট ডাক্তার আজমিরী বেগমের শরনাপন্ন হলে তিনি আলট্রাসনোগ্রাম করার জন্য বলেন। আলট্রাসনোগ্রামে সুমির দুই মাসের গর্ভের সন্তান নস্ট হয়েছে মর্মে রিপোর্টে দেখা যায়।  সুমি বলেন, যৌতুকের জন্য আমার স্বামী, শশুর ও শাশুরী আমাকে মারে আর বলে ওর সন্তান বাঁচতে দিবি না। ওর সন্তান জম্ম নিতে দেওয়া যাইবে না। সবাই আমার পেটে লাথি মারছে। লাথিতে আমার প্রথম সন্তান নস্ট হয়েছে। মামলার বাদী হেলেনা বেগম বলেন, ১০ আগস্ট আমি বরগুনা থানায় মামলা করেছি। ওসি স্যার মারুফ দারোগাকে দিয়ে ঘটনার তদন্ত করে সত্যতা পাইছে। তারপর আমরা এডিশনাল এসপির কাছে গেছি। তারা বলে আমরা মামলা নিব। পরে তারা অনেকদিন ঘুরাইয়া আমাকে মামলা ফেরৎ দেয়। আসামী পুলিশ সেই কারনে মামলা নেয়নি। আমার স্বামীও পুলিশ ছিল। একমাস আগে অবসরে গেছেন। রুবেল বলেন, বাদীর ঘটনা সত্য নয়। আমি ছুটিতে বাড়ীতে গেলে আমার স্ত্রী আমার সাথে দেখা দেয়নি। বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেএম তারিকুল ইসলাম বলেন, বাদী অভিযোগ সত্য নয়। বাদী মামলা দেওয়ার পর আবার নিয়ে গেছেন। তারা নাকি বিজ্ঞ আদালতে মামলা করবেন।