সব কিছুই চলছে লকডাউনে

করোনা সংক্রমণ রোধে ঘোষিত লকডাউনে সব কিছুই চলছে। লকডাউনেও রাজধানীর রাস্তায় চিরচেনা রূপ দেখা গেছে। সড়কে যানবাহন ও পথচারীদের দেখে লকডাউন বুঝার উপায় নেই। কারণ সড়কে তীব্র যানজট। আবার অনেকেই মুখে নেই মাস্ক এবং মানছে না কেউ স্বাস্থ্যবিধি।
অন্যদিকে সংক্রমণ রোধে প্রথমে গত ৫ এপ্রিল গণপরিবহন ও অফিস-আদালত চালু রেখে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করেছিল। সরকার এই বিধিনিষেধকে লকডাউন হিসেবে বর্ণনা করেছিল। কিন্তু দৃশ্যত প্রথম দিন থেকেই কোথাও লকডাউনের লেশমাত্র ছিল না। দোকানপাট ও গণপরিবহন চালু থাকার কারণে সংক্রমণ পরিস্থিতিতে তেমন পরিবর্তন দেখা যায়নি। সরকারি অফিস সীমিতভাবে চললেও বেসরকারি অফিস খোলা থেকেছে।
গত ৫ এপ্রিলের পর বিধিনিষেধ আরো কয়েক ধাপে ২৩ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সর্বশেষ রোববার বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহের জন্য বাড়িয়েছে সরকার। যা আগামী ৩০ মে মধ্যরাত পর্যন্ত বহাল থাকবে।
তবে এবার আন্তঃজেলা গণপরিবহন চলাচল করার সুযোগ দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ বাস, ট্রেন ও লঞ্চসহ সব ধরনের গণপরিবহন চলবে। কিন্তু ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী বহন করা যাবে। যাত্রীসহ সবাই মাস্ক পরা এবং স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। সেই সঙ্গে হোটেল-রেস্তোরাঁয় বসে খাওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। তবে উভয় ক্ষেত্রে ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক সেবা দেয়া যাবে।
অন্যদিকে চলাচলে বিধিনিষেধ বলা হলেও সরকারি অফিসে সীমিত কার্যাবলী ছাড়া আর সব ধরনের অফিস, ব্যবসা, দোকানপাট, যানবাহন চালু চলছে। এর আগে বিধিনিষেধ বাড়ানো হলেও দোকানপাট-শপিংমল খোলা রাখার সুযোগ, শহরের ভেতরে গণপরিবহন চালুর অনুমতি দেয়া হয়েছিল। পরে সরকার ১৪ এপ্রিল থেকে সর্বাত্মক লকডাউনে যায়, যাতে বন্ধ ছিল গণপরিবহন এবং দোকানপাট। কিন্তু এর পরের সপ্তাহ থেকে দোকানপাট খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচলও চালু করে দেয়া হয়। তবে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের মার্চ মাসের শেষের দিক থেকে যে লকডাউন দেয়া হয়েছিল সেটি প্রায় দুই মাস চলেছে নানা বিধি-নিষেধের আওতায়। কিন্তু এই বছরের বিধিনিষেধে তেমন চিত্র দেখা যায়নি।