হিজলায় গৃহবধূকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ

হিজলায় গৃহবধূকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ
বরিশালের হিজলায় গৃহবধূকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে মামুন নামে ১ জনকে আটক করেছে হিজলা থানা পুলিশ। গৃহবধূর শারীরিক পরীক্ষার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গত শুক্রবার বিকেলে গৃহবধূ জাকির হোসেন গোলন্দাজ নামে এক যুবকের সঙ্গে হিজলার সাহাবুদ্দিন চৌধুরী পাড়ায় ঘুরতে যাবার পথে বখাটেরা জাকিরকে মারধর করে গৃহবধূকে বাগানে নিয়ে দলবেঁধে ধর্ষণ করে। গৃহবধূর (২৫) বাড়ি মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার ধুলিয়া মধ্য চর গ্রামে। জকির হোসেন গোলন্দাজের বাড়ি বরগুনা জেলার ছোটবগি গ্রামে। সে বরিশালে অটো রিক্সা চালক। তাদের সঙ্গে পূর্বের কোন পরিচয় ছিল না বলে দাবি করেছে তারা। দুজনের মেহেন্দিগঞ্জের উলানিয়া খেয়াঘাটে পরিচয় হয়। তবে পুলিশ ঘটনা খতিয়ে দেখছে। স্থানীয়রা জানান, বরিশালের অটোরিক্সা চালক জাকির হোসেন গোলন্দাজের সঙ্গে হিজলার সাহাবুদ্দিন চৌধুরী পাড়ায় ঘুরতে যান গৃহবধূ। যাবার পথে স্থানীয় একদল বখাটে তাদের পিছু নেয়। এক পর্যায়ে তারা জাকির হোসেন গোলন্দাজকে মারধর করে। পরে গৃহবধূকে একই এলাকার একটি বাগানের ভিতর নিয়ে দলবেঁধে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। মেহেন্দিগঞ্জ থানা পুলিশ জানায়, গৃহবধূ তার স্বামীর সাথে ঢাকায় থাকেন। আর জাকির গোলন্দাজ বরিশালে অটো টেম্পু চালায়। ঈদের ছুটিতে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসে গৃহবধূ। তাদের দাবি অনুযায়ী জাকির গোলন্দাজের সঙ্গে গৃহবধূর মেহেন্দিগঞ্জের উলানিয়া খেয়াঘাটে পরিচয় ঘটে। সেই পরিচয়ের সূত্র ধরে তারা দুজন এক সঙ্গে যাচ্ছিলো। পথিমধ্যে বখাটেরা জাকিরকে মারধর ও গৃহবধূকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে গৃহবধূ জানিয়েছে ৪/৫ জন মিলে তাকে জোর করে ধর্ষণ করেছে। তবে মামুন নামে যাকে আটক করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে সরাসরি ধর্ষণের অভিযোগ নেই। সে ধর্ষণে সহযোগিতা করেছে। তবে আটক মামুনের মাধ্যমে পলাতক ধর্ষকদের নাম-পরিচয় জানাগেছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে ঘটনাটি জানতে পেরে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মঈনুদ্দিন আহমেদসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে গৃহবধূ ও তার সঙ্গ থাকা যুবককে উদ্ধার করে। পাশাপাশি ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে শুক্রবার রাতে মামুন নামের এক কিশোরকে আটক করা হয়েছে। ধর্ষণের অভিযোগ এনে গৃহবধূ বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে গতকাল শনিবার সকালে গৃহবধূর শারীরিক পরীক্ষার জন্য বরিশা শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনার সঙ্গে জাকির গোলন্দাজের কোন সম্পৃক্ততা রয়েছে কিনা সে বিষয়েও া জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।