হেফাজতের সম্মেলন রবিবার

হেফাজতের সম্মেলন রবিবার

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির শাহ আহমদ শফীর মৃত্যুর পর নানা জল্পনা-কল্পনার পর অবশেষে রবিবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে হেফাজতের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল। হাটহাজারী দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম (বড়) মাদ্রাসায় হেফাজতের এ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা গেছে।

ইতিমধ্যে কাউন্সিলকে সফল করতে হেফাজতের বর্তমান মহাসচিব শাইখুল হাদিস আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরীর নেতৃত্বে ১৮ সদস্যের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি কাজ করছে।

তবে আহমদ শফীর ছেলে ও হেফাজতের দফতর সম্পাদক আনাস মাদানীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে জানা গেছে।

কাউন্সিল সফলভাবে সম্পন্ন করতে কমিটির সদস্যরা দফায় দফায় মাদ্রাসায় বৈঠকে মিলিত হচ্ছেন বলে জানা গেছে।

জানা যায়, ২০১০ সালের ১৯ জানুয়ারি গঠিত হয়েছিল চট্টগ্রাম কেন্দ্রিক কওমি আক্বিদাপন্থী অরাজনৈতিক ইসলামি সংগঠন হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ। ২০১৩ সালে ১৩ দফা দাবি নিয়ে দেশব্যাপী আলোচনায় আসে তারা। ২০১৪ সালে ৫ মে ঢাকায় শাপলা চত্বরে অবরোধের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে আলোচনা আসে হেফাজত ইসলাম। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে হেফাজতের আমিরের পদে ছিলেন প্রবীণ আলেম হাটহাজারী বড় মাদ্রাসার মহাপরিচালক শাহ আহমদ শফী।

তৎকালীন সিনিয়র মুহাদ্দিস ও বর্তমান হাটহাজারী বড় মাদ্রাসার শিক্ষা পরিচালক আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীকে মহাসচিব করে হেফাজতের ২২৯ সদস্যের মজলিশে শূরা কমিটি গঠন করা হয়েছিল সেই সময়। ২০২০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর আল্লামা শাহ আহমদ শফীর মৃত্যু পর পদটি শূন্য হয়। এরপর থেকে সংগঠনের আমির কে হচ্ছেন তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। অবশেষে আমিরের শূন্যপদে পূরণসহ সংগঠনের কমিটিকে ঢেলে সাজানোর জন্য রবিবার কাউন্সিল আহ্বান করা হয়।

কাউন্সিল অধিবেশনে ৬৪ জেলার প্রায় চার শ কাউন্সিলর ডেলিগেট উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। এসব কাউন্সিলরদের ইতিমধ্যে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি আমন্ত্রণ জানাতে শুরু করেছে।

হেফাজতের কর্মকর্তা জাকারিয়া নোমান ফয়েজি রবিবার তাদের কাউন্সিলর অধিবেশনের কথা নিশ্চিত করেছেন।

আমির ও মহাসচিব পদে কারা আসবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমিরের জন্য দু’জন ও মহাসচিব পদের জন্য ডজনখানেকের নাম শোনা যাচ্ছে। তবে উপস্থিত কাউন্সিলরদের মতামতের ভিত্তিতে আমির ও মহাসচিব নির্বাচিত হবে।