১৭তম নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

১৭তম নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

২০২০ সালে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) ১৭তম নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। দীর্ঘ ২০ মাসেও প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আয়োজন করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। তবে খুব শিগগিরই ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের পরীক্ষার আয়োজন করবে এনটিআরসিএ। এনটিআরসিএ'র দায়িত্বশীল একাধিক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।সোমবার এনটিআরসিএ সচিব মো. ওবায়দুর রহমান


 বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে। এরপরই ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনধারীদের পরীক্ষার আয়োজনের প্রস্তুতি নেয়া হবে।

এনটিআরসিএ ভবনে সরেজমিনে দেখা যায়, ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধনের ফল নিয়ে ব্যস্ত কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির সুপারিশপ্রাপ্তদের এবারই প্রথম পুলিশ ভেরিফিকেশন করা হচ্ছে। যা নিয়ে চরম ব্যস্ত সময় পার করছেন কর্মচারী ও কর্মকর্তারা। সবশেষ ফাইলের কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে আছে বলে জানিয়েছেন তারা। এরপর ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন প্রিলিমিনারির পরীক্ষা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের আবেদনকারীরা বলেন, দীর্ঘ সময়ে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা না হওয়ার আমরা সবাই হতাশ। আমরা চাই এনটিআরসিএ একটি গতিশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করুক। কিন্তু দীর্ঘ দিনেও আমাদের প্রতীক্ষা শেষ হচ্ছে না।

হুমাইরা শারমিন নামে এক প্রার্থী বলেন, তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি দেয়ার পরও এখনো ৩৮ হাজার শিক্ষকের নিয়োগ হয়নি। অথচ আমরা আবেদন করার পর প্রায় ২ বছর হতে চলেছে। এখন কবে পরীক্ষা হবে, আর কবে আমরা নিয়োগ পাবো। এতা জটিলতার মধ্যে এ নিয়োগ প্রক্রিয়া আরও সহজ করার দাবি জানান তিনি।

রাসেল আহমেদ নামে আরেকআবেদনকারী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশে আবেদন থেকে চূড়ান্ত সুপারিশ পেতে যদি ৪-৫ বছর লেগে যায় তাহলে লাভটা কি? আমার মনে হয় এ জটিলতা নিরসনের সময় এসেছে, এনটিআরসিএকে এ বিষয়ে আরও ভাবতে হবে।

পারভেজ আহমেদ নামে এক আবেদনকারী বলেন, পরীক্ষা কবে হবে প্রায় দুবছরে আমরা এটিই জানতে পারলাম না। ​এ বিষয়ে এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষকে অনেকবার প্রশ্ন করেছি কিন্তু কোনো ফলাফল আমরা পাইনি।

প্রসঙ্গত, বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা এবং কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নিয়োগে সুপারিশ করে থাকে এনটিআরসিএ। ২০১৫ সালের আগ পর্যন্ত তারা শুধুমাত্র সনদ প্রদান করতো প্রতিষ্ঠানটি। সনদের ভিত্তিতে নিয়োগ দিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কমিটি। তবে এ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠায় ২০১৫ সাল থেকে নিবন্ধন সনদ প্রদানের পাশাপাশি মেধার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে আসছে প্রতিষ্ঠানটি।