১৯ বিশিষ্ট নাগরিক ও ২ প্রতিষ্ঠানকে একুশে পদক

বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ বছর দেশের ১৯ বিশিষ্ট নাগরিক ও দুটি প্রতিষ্ঠানকে একুশে পদক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রতিষ্ঠান দুটি হলো সমাজসেবায় বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন ও শিক্ষায় বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর।
রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এবারের একুশে পদক পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের মধ্যে রয়েছেন অভিনেতা মাসুদ আলী খান ও শিমুল ইউসুফ, সাংবাদিক শাহ আলমগীর (মরণোত্তর), চিত্রশিল্পী কনক চাঁপা চাকমা ও আবৃত্তিকার জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়।
এ ছাড়াও ভাষা আন্দোলনে খালেদা মনসুর-ই খুদা, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম শামসুল হক (মরণোত্তর) এবং হাজী মো. মজিবর রহমান। সংগীতে মনোরঞ্জন ঘোষাল, গাজী আব্দুল হাকিম এবং ফজল-এ-খোদা (মরণোত্তর)। শিল্পকলায় নওয়াজীশ আলী খান, মুক্তিযুদ্ধে মমতাজ উদ্দীন (মরণোত্তর), গবেষণায় ড, মো. আবদুল মজিদ, শিক্ষায় প্রফেসর ড. মযহারুল ইসলাম, সমাজসেবায় মো. সাইদুল হক। এ ছাড়া ভাষা ও সাহিত্যে মো. মনিরুজ্জামান এবং রাজনীতিতে অ্যাডভোকেট মঞ্জুরুল ইমাম (মরণোত্তর) এবং আকতার উদ্দিন মিয়া (মরণোত্তর)।
রাষ্ট্রের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদক। মহান ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে ১৯৭৬ সাল থেকে প্রতিবছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য সরকার এ পুরস্কার দেয়। পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেককে একটি স্বর্ণপদক, এককালীন অর্থ (চেক) ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।