৯ স্থল বন্দরে রাসায়নিক পরীক্ষাগার হচ্ছে

ফল আমদানিতে রাসায়নিকের মাত্রা পরীক্ষা করতে দেশের ৯টি স্থল বন্দরে রাসায়নিক পরীক্ষাগার (কেমিক্যাল টেস্টিং ইনস্টিটিউট) স্থাপন করতে একমত হয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও এডিবি।
স্থলবন্দরগুলো হলো- ভোমরা, বুড়িমারী, হিলি, বাংলাবান্ধা, সোনামসজিদ, শ্যাওলা, তামাবিল, বিবিরবাজার ও টেকনাফ।
স্থল বন্দরে কেমিক্যাল টেস্টিং ইউনিট স্থাপন করতে উচ্চ আদালতের রায় বাস্তবায়নের বিষয়ে হাইকোর্টে দেওয়া এনবিআরের এক প্রতিবেদনের এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদন পাওয়ার বিষয়টি রবিবার নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। তিনি জানান, প্রতিবেদনের ওপর সোমবার শুনানি হবে।
দেশের স্থল ও নৌবন্দর দিয়ে কেমিক্যালযুক্ত ফল আমদানি রোধে ২০১০ সালে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করে। এর প্রেক্ষিতে ২০১২ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট এক আদেশে সকল স্থল ও নৌবন্দরে ছয় মাসের মধ্যে কেমিক্যাল টেস্ট ইউনিট স্থাপনে এনবিআরকে নির্দেশ দেয়। এর ধারাবাহিকতায় হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়নের বিষয়ে এনবিআরের কাছে ব্যাখ্যা জানতে চায় আদালত। এর প্রেক্ষিতে এ প্রতিবেদন দেওয়া হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চট্টগ্রাম এবং বেনাপোলে রাসায়নিক ল্যাবরেটরি রয়েছে। চট্টগ্রামে আমদানিকৃত ফল রাসায়নিক ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। এবং আমদানি নীতি আদেশ পালন করে চালান খালাস করা হয়। অন্যান্য কাস্টম হাউসগুলোতে আমদানিকৃত ফল কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ অফিসের মাধ্যমে রাসায়নিক পরীক্ষা শেষে তা বাজারে খালাস করা হয়।