অবসরভাতা পেতে হয়রানি করতে এসআই’র নামে ছিনতাই অভিযোগ

অবসরভাতা পেতে হয়রানি করতে এসআই’র নামে ছিনতাই অভিযোগ

ঝালকাঠি শহরের পালবাড়ি এলাকার বাসিন্দা এবং পটুয়াখালী জেলা পুলিশে টিএসআই পদে কর্মরত মো. কামাল হোসেন ওরফে হাকিম খান’র বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে সর্বশেষ ছিনতাই’র অভিযোগ দিয়েছে প্রতিপক্ষরা। তাদের উদ্যেশ্য চাকুরীর শেষ বয়সে অবসর ভাতা নিতে হয়রানি করা। অভিযোগকারীরা দূরের কেউ নয়, সে তার আপন ভাই এবং ভাবি। এমনটাই অভিযোগ করেছেন মো. কামাল হোসেন ওরফে হাকিম খান’র স্ত্রী পাপিয়া সুলতানা।

ঝালকাঠি টেলিভিশন সাংবাদিক সমিতিতে শনিবার সকাল ১১টায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন তার কন্যা শাইমিন আক্তার এনি, শারমিন খান নিপা, পুত্র মাহফুজুর রহমানসহ আরো আত্মীয় স্বজন। 


লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, মো. কামাল হোসেন ওরফে হাকিম খান ১৯৮৫ সালে পুলিশ বাহিনীতে যোগদানের পর থেকে সুনামের সাথে দায়িত্বপালন করে উত্তোরত্তর সফলতা অর্জন করেছেন। তার বিরুদ্ধে বাহিনীর শৃঙ্খলা পরিপন্থি কোন অভিযোগও নেই পুলিশ বিভাগে। পারিবারিক জমি সংক্রান্ত বিরোধে তারই আপন ছোট ভাই হারুন অর রশিদ আইজি, ডিএমপি কমিশনার, ডিআইজি, এসপি, ঢাকা সিকিউরিটি সেল বরাবরে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করে। বিভাগীয় তদন্তে আনিত অভিযোগ না পাওয়ায় দায় থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়। হারুন অর রশিদ গত বছরের জুলাই মাসে মারাগেলে তারা স্ত্রী গত মার্চ মাসে ছিনতাই’র ঘটনা সাজিয়ে থানায় অভিযোগ দেয়। থানা পুলিশের তদন্তে তা মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় আইন আমলে গ্রহিত হয়নি। ২মাস পরে ঝালকাঠি আদালতে সিআর মামলা (নং-১৩৬/২১) দায়ের করে। উক্ত কপি পটুয়াখালী পুলিশ সুপার বরাবরেও প্রেরণ করা হয়েছে। মো. কামাল হোসেন ওরফে হাকিম খান’র সুখ্যাতি ও সুনাম নষ্ট করে চাকুরী জীবনের শেষ প্রান্তে অবসরকালীন ভাতা পেতে বিঘœ সৃষ্টি করার মানসিকতায় এজাতীয় ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।

মিথ্যা অভিযোগ প্রত্যাহারসহ যথাযথ প্রতিকার পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তার স্ত্রী পাপিয়া সুলতানা।