বরিশালের চারদিকে উন্নয়নের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ভোলার গ্যাস সরবরাহ, পায়রা বন্দর, পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা, পদ্মাসেতু এ অঞ্চলের উন্নয়নের অন্যতম উপকরণ। এঅবস্থায় বরিশালকে বিনিয়োগের অঞ্চল করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি।
গতকাল শনিবার দুপুরে বরিশাল শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবত বরিশাল প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত বিকল্প বাজেট প্রস্তাবনায় ওই দাবি জানায় অর্থনীতি সমিতি।
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রায় ১২ লাখ কোটি টাকার বিকল্প বাজেট বাস্তবায়ন হলে বরিশাল অঞ্চলের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটবে।
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির আজীবন সদস্য শিক্ষাবিদ মো: হানিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিকল্প বাজেট প্রস্তাবনা তুলে ধরেন সমিতির সদস্য ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো: আখতারুজ্জামান খান।
লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, অর্থনীতি সমিতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য যে বিকল্প বাজেট প্রস্তাবনা করেছে তার আকার ১২ লাখ ৪০ হাজার ৯০ কোটি টাকা। যা গত অর্থবছরের অর্থমন্ত্রী কর্তৃক প্রস্তাবকৃত বাজেটের তুলনায় ২.৬৭ গুণ বেশি। তিনি এ বাজেটকে উচ্চবিলাসী ও বৃহৎ নয় দাবি করে বলেন, দেশ যেভাবে উন্নয়নের দিকে ধাবিত হচ্ছে সে অনুযায়ী আমাদের সম্পদের সুষ্ঠ ব্যবহার হলে এই বাজেট বাস্তবায়ন সম্ভব।
মো: আখতারুজ্জামান খান বলেন, অর্থনীতি সমিতির বাজেটের সম্পূরক হিসেবে বরিশালে বিনিয়োগ হবে ব্যাপক। কেননা বরিশাল একদিকে যেমন কৃষি অঞ্চল, তেমনি শিল্পেও এগিয়ে যাচ্ছে দ্রুত গতিতে। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, আটঘর-কুরিয়ানার পেয়ারা প্রক্রিয়াজানকরণ করে কৃষিতে ব্যাপক সাফল্য লাভ করতে পারে। পদ্মা সেতু, পায়রা বন্দরের পর ভোলার গ্যাস এ অঞ্চলে আসলে বরিশাল বিনোয়গের অঞ্চল হিসেবে গড়ে ওঠা সময়ের ব্যাপার মাত্র। অর্থনীতি সমিতি যে কারণে বরিশালকে নিয়ে বেশ আশাবাদী। পয়সার হাট ও ভোলার দুটি ইকোনোমিক জোন বাতিল হওয়া অপ্রত্যাশিত ঘটনা।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সরকারী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আ. মোতালেব হাওলাদার, ব্রজমোহন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ননী গোপাল দাস, বিএম সফিকুল হাসান মাখন, শাহিনা আজমিন প্রমূখ। সঞ্চালনায় ছিলেন মেহেদী হাসান শুভ।