আওয়ামী লীগ নয়, বিএনপি পালাবে: যুবলীগ চেয়ারম্যান

যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, বিএনপি নেতাদের অধিকার বা দক্ষতা নাই এই দেশ পরিচালনা করার। আপনাদের চেয়ারম্যান দুর্নীতির দায় গ্রস্ত; আপনি কার মুখপাত্র? আওয়ামী লীগ সরকারে ক্ষমতাচ্যুত করার শক্তি বিএনপি জামায়াতের নেই।
আজ বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দেশব্যাপী বিএনপি-জামাতের নৈরাজ্য ও তাণ্ডবের প্রতিবাদে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে শান্তি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল, সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, সঞ্চালনা করেন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা।
শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, আজ যুব সমাজ ঐক্যবদ্ধ। যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করার জন্য রাজপথে তারা ঐক্যবদ্ধ। তারা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার অত্যন্ত প্রহরীর মতো রাজপথে থেকে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করার ক্ষমতা রাখে।
পরশ বলেন, বিএনপি জামায়াতের কৌশল আমাদেরকে অত্যাচারী এবং কর্তৃত্ববাদী সরকার হিসাবে বহির্বিশ্বে উপস্থাপন করা। এত নমনীয়তার পরও আমরা নাকি অত্যাচারী সরকার। ওরা মিথ্যাচারী ও পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া করতে চায়, বিভিন্ন রকম উসকানি দিতে চেষ্টা করবে। আমরা ওদের ফাঁদে পা দেব না। ওরা প্রতারণায় এবং প্রোপাগান্ডায় ভীষণ ভাবে পটু। কিন্তু রাজপথে আমরা এক ইঞ্চি ও ছাড় দেব না। আমাদের ব্ল্যাকমেল করার সুযোগ দেব না।
বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্যে যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে, এই ঢাকার রাজপথে আপনারা পোস্টার হয়েছেন, নুর হোসেন, ফাত্তাহ বাবুল হয়েছেন। তারপরেও দেশের স্বার্থে, সংগঠনের স্বার্থে, বঙ্গবন্ধুকন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার প্রশ্নে যুবলীগ আপোস করে নাই, যুবলীগ আপস করতে জানে না।
তিনি যুবলীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, যেমনি করে বিগত দিনে কাফনের কাপড় মাথায় বেঁধে রাজপথ আগলে রেখে প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশিত পথে মানুষের কল্যাণে, মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য আপনারা সব সময় কাজ করেছেন। আগামী নির্বাচনেও সেই সাহসিকতা আর বীরত্বের সঙ্গে রাজপথে থাকবেন। বিএনপি-জামাতের সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আবারও রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে ঘরে ফিরবেন।
উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য- অ্যাড. মামুনুর রশিদ, মঞ্জুর আলম শাহীন, হাবিবুর রহমান পবন, মোঃ নবী নেওয়াজ, মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, মোঃ জসিম মাতুব্বর, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জহির উদ্দিন খসরু, আবু মুনির মোঃ শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল, মশিউর রহমান চপল, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ জহুরুল ইসলাম মিল্টন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক মোঃ শামছুল আলম অনিক, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মোঃ হেমায়েত উদ্দিন মোল্লা, উপ- দপ্তর সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক অ্যাড. শেখ নবীরুজ্জামান বাবু, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ- ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মো: আব্দুর রহমান, উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক- শামসুল ইসলাম পাটোয়ারী, উপ-কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোল্লা রওশন জামির রানা, উপ- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক েেমা: গোলাম কিবরিয়া শামীম, উপ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হরে কৃষ্ণ বৈদ্য, ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সহ-সভাপতি সোহরাব হোসেন স্বপন, আনোয়ার ইকবাল সান্টু, নাজমুল হোসেন টুটুল, মুরসালিম আহম্মেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী সারোয়ার হোসেন বাবু, মাকসুদুর রহমান, কাজী ইব্রাহীম খলিল মারুফ, দপ্তর সম্পাদক এমদাদুল হক এমদাদ, অর্থ সম্পাদক ফিরোজ উদ্দিন আহম্মেদ সায়মন, উপ-দপ্তর সম্পাদক খন্দকার আরিফ-উজ-জামান, উপ-শিক্ষা ও পাঠাগার-আলতাফ হোসেনসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ