আগামী সপ্তাহ থেকে ফাইজারের টিকা দেয়া শুরু হবে

আগামী সপ্তাহ থেকে ফাইজারের টিকা দেয়া শুরু হবে

দেশে আগামী সপ্তাহের শেষ থেকে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা দেয়া শুরুর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বুলেটিনে অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম এ কথা জানান।

তিনি বলেন, যেহেতু টিকার পরিমাণ অনেক কম, আগে থেকেই যারা টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন তাদেরকে এই টিকা দেওয়া হবে।

ডা. নাজমুল জানান, অতি শীতল তাপমাত্রায় রাখা হয় বলে ফাইজারের টিকা দেওয়ার আগে সক্রিয় টিকায় রূপান্তর করতে ডাইলুয়েটের প্রয়োজন হয়। রেফ্রিজারেটরের বাইরে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এ টিকা দুই ঘণ্টা ভালো থাকে।

কোভ্যাক্স থেকে আগামী ৭ জুন বাংলাদেশে এই ডাইলুয়েটর এসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এরপর বাকি আনুষ্ঠানিকতা শেষে আমরা আশা করছি আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে এই টিকা প্রয়োগ শুরু হবে।

ফাইজারের টিকা দেওয়ার সেন্টারে চূড়ান্ত হয়নি জানিয়ে ডা. নাজমুল বলেন, টিকাদান কেন্দ্রের জন্য অনেকগুলো হাসপাতাল বিবেচনায় আছে। চূড়ান্ত বিবেচনায় টিকা যেখানে রাখা হয়েছে, সেখান থেকে কেন্দ্রের দূরত্ব, সেখানকার লোকবল এবং অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করা হবে।

সোমবার রাতে কোভ্যাক্স থেকে ফাইজার-বায়োএনটেকের ১ লাখ ৬২০ ডোজ টিকা ঢাকায় এসে পৌঁছায়।

এটি দেশে পৌঁছানো তৃতীয় কোম্পানির টিকা। এর আগে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনকার কোভিশিল্ড এবং চীনের সিনোফার্মের টিকা দেশে প্রয়োগ শুরু হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি ফাইজার ও জার্মান জৈবপ্রযুক্তি কোম্পানি বায়োএনটেকের তৈরি ফাইজারের টিকা গত বছরের ২ ডিসেম্বর বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে যুক্তরাজ্য জরুরি ব্যবহারের অনুমতি দেয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর তাদের জরুরি ব্যবহার্য টিকার তালিকায় ফাইজারের ভ্যাকসিনকে অন্তর্ভুক্ত করে।

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড বা সিনোফার্মের তৈরি টিকার মতোই ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকাও নিতে হবে দুই ডোজ করে। প্রথম ডোজ দেওয়ার ৩ থেকে ৪ সপ্তাহ পর দিতে হবে দ্বিতীয় ডোজ।