আমতলী থানা হেফাজতে আসামী মৃত্যু, পুলিশ পরির্দশক প্রত্যাহার

বরগুনার আমতলী থানায় পুলিশ হেফাজতে থাকা একটি হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামী শানু হাওলাদারের (৫০) মরদেহ পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কক্ষ থেকে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। যা নিয়ে সারাদেশ ব্যাপী তোলপার সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় আমতলী থানার পরিদর্শক মোঃ আবুল বাশারকে শুক্রবার দুপুরে প্রত্যাহার করে বরগুনা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
বরগুনা পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানাগেছে, বৃহস্পতিবার সকালে আমতলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কক্ষে একটি হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন আসামী সানু হাওলাদারের গলায় ফাঁস দেয়া অর্ধ নগ্ন মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ঘটনার দায়িত্ব অবহেলার কারনে তাৎক্ষনিক বরগুনা জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মারুফ হোসেন (পিপিএম) পরিদর্শক (তদন্ত) মনোরঞ্জন মিস্ত্রী ও ডিউটি অফিসার এএসআই আরিফুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দেন এবং বরগুনা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোঃ তোফায়েল হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
পুলিশের হেডকোর্য়াটারের এক আদেশে বরিশাল ডিআইজি মোঃ শফিকুল ইসলাম (পিপিএম) এর নির্দেশে বরগুনা পুলিশ সুপার মোঃ মারুফ হোসেন (পিপিএম) স্বাক্ষরিত এক আদেশে শুক্রবার দুপুরের পরে আমতলী থানার পরিদর্শক মোঃ আবুল বাশারকেও প্রত্যাহার করে বরগুনা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোঃ তোফায়েল আহম্মেদ। আমতলী থানায় নতুন পরিদর্শক কাকে দেয়া হয়েছে তা এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জানা যায়নি।
উল্লেখ্য গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে আমতলী থানা পুলিশ হেফাজতে থাকা একটি হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামী শানু হাওলাদারের (৫০) মরদেহ পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মনোরঞ্জন মিস্ত্রীর কক্ষ থেকে গলায় ফাঁস দেয়া অর্ধ নগ্ন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ বলেছে সানু গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আর পরিবারের দাবী পুলিশের চাহিদা মোতাবেক তিন লক্ষ টাকা ঘুষ না দেয়ায় তাকে নির্যাতন করে মেরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।