আমতলীতে নানা অজুহাতে রাস্তায় নামছে মানুষ

আমতলীতে নানা অজুহাতে রাস্তায় নামছে মানুষ


সারাদেশে করোনা সংক্রমণ রোধে জারি করা ‘কঠোর বিধিনিষেধ‘ মানার চতুর্থ দিন আজ। আজ সকালে থেকে পৌর শহরের প্রধান সড়কগুলো ফাঁকা থাকলেও নানা অজুহাতে মানুষ রাস্তায় বের হচ্ছেন। তাদের ঘরে ফেরাতে রীতিমত যুদ্ধ শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

আজ (রবিবার) সকালে আমতলী পৌর শহরের প্রধান সড়কগুলো ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ সড়কগুলি ফাঁকা থাকলেও কিছু লোকজন অহেতুক রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এদের মধ্যে কেউ রিকশা নিয়ে আবার কেউবা পায়ে হেঁটে। সড়কে টহলরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সামনে পড়লে তারা দিচ্ছেন নানান অজুহাত। ঘরের বাহিরে বের হওয়ার কারণ জানতে চাইলে অযৌক্তিক কারণ শুনে বিব্রত হচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

সকাল ১০ টার দিকে শহরের প্রধান দুটি কাঁচাবাজার ও মাছ বাজারে কিছুটা ভীর লক্ষ করা গেলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাজার দুটি মোটামুটি ফাঁকা হয়ে যায়। এ সময় ওই বাজারে অনেককে শরীরের সাথে শরীর মিশিয়ে ও মাস্কবিহীন কেনাকাটা করতে দেখা যায়। এছাড়াও শহরের মধ্যে কিছু ব্যাটারী চালিত রিকশা, মোটর সাইকেল এবং পন্যবাহী যানবাহন চলাচল করছে। যা গত ৩ দিনের তুলনায় অনেক বেশী।

অপরদিকে মূল সড়কে নৌ বাহিনী ও পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেও শহরের পাড়া-মহল্লায় ঘর থেকে বের হওয়া মানুষদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এমনকি প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে অলিগলিতে সকাল বিকাল চলছে চায়ের আড্ডা। এছাড়া শহরের বিভিন্ন মার্কেটের সামনে দোকানীদের বসে থাকতে দেখা যায়। কোন ক্রেতা তার প্রয়োজনীয় জিনিষ কিনতে আসলে বিক্রেতা কৌশলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের চোঁখ ফাঁকি দিয়ে সেটি বিক্রি করছেন।

এদিকে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামান এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ নাজমুল ইসলাম উপজেলার বেশ কয়েকটি স্পটে লকডাউন না মানায় ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে মানুষকে সচেতন করতে ২০টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ১৭ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন। এসময় তাদের সাথে নৌবাহিনী ও পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আমতলী থানার পরিদর্শক (ওসি) মোঃ শাহআলম হাওলাদার মুঠোফোনে বলেন, প্রয়োজন ছাড়া মানুষ খুব একটা ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। যারা বের হচ্ছে এবং অহেতুক ঘোড়াঘুড়ি করছে আমরা তাদের প্রত্যেকের কাছে বের হওয়ার কারণ জানতে চাচ্ছি এবং তা যাচাই বাছাই করছি। কিছু মানুষের ঘর থেকে বের হওয়ার অযৌক্তিক কারণ শুনে বিব্রতও হচ্ছি। আর যে সমস্ত যানবাহন কঠোর বিধিনিষেধ ও আইন অমান্য করে চলাচল করছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হচ্ছে।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ নাজমুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, লকডাউন বাস্তবায়ন ও মানুষকে সচেতন করতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন স্পটে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে জরিমানা করা হচ্ছে। তার পরেও কিছু মানুষ অহেতুক রাস্তায় বের হচ্ছেন