আমতলীতে বিদ্যালয়ের সরকারী বই বিক্রির অভিযোগ

বরগুনার আমতলী উপজেলার ছোট নীলগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের বরাদ্দ দেয়া সরকারী বই বিক্রির অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখতে বিদ্যালয় পরিদর্শন করছেন বরগুনা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় সরকারী বই বিক্রির অভিযোগ তদন্ত করার জন্য বরগুনা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ সাহাদাৎ হোসেন আমতলী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে সাথে নিয়ে ছোট নীলগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি প্রধান শিক্ষকের সরকারী বই বিক্রির বিষয় সত্যতা জানার জন্য বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, ম্যানেজিং কমিটি’র সদস্যদের সাথে কথা বলেন।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার ছোট নীলগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মোঃ মোশাররফ হোসেন বিদ্যালয়ে গত ২ বছরে বিদ্যালয়ে সরকারীভাবে ৫’শ ৫৫ সেট বই বরাদ্দ পান। চাহিদা মোতাবেক সে বই শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরন শেষে অবশিষ্ট বই মজুদ রাখেন। প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ নূরুল ইসলাম মৃধা মিলে বিদ্যালয়ের অভ্যান্তরিক ক্রয়-বিক্রয় কমিটিকে না জানিয়ে গোপনে গত সোমবার বিদ্যালয়ের পুরাতন বই, ব্যবহারিক খাতা ও উত্তরপত্রের সাথে মজুদকৃত সরকারী বই বিক্রি করে দেয়। এ সকল বই খাতা আমতলী- পটুয়াখালী মহা-সড়কের আমড়াগাছিয়া বাসষ্ট্যান্ডে বনি আমিনের ভাঙ্গারী দোকানে বিক্রি করেন। যা ভাঙ্গারী দোকান মালিক বনি আমিন স্বীকার করেন। এ প্রসংঙ্গে বনি আমিন বলেন ছোট নীলগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের হেড স্যার ৫৩৯ কেজি সরকারী বই, ৫৫৬ কেজি পুরাতন ব্যবহারিক খাতা ও উত্তরপত্র আমার কাছে বিক্রি করেছেন। বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম জানান, বিদ্যালয়ের অভ্যান্তরিক ক্রয়-বিক্রয় কমিটিকে না জানিয়ে সভাপতির নির্দেশে বিদ্যালয়ের সরকারী বই, পুরাতন ব্যবহারিক খাতা ও উত্তরপত্র বিক্রি করেছেন প্রধান শিক্ষক।
আমতলী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার খন্দকার মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, তদন্তকাজ চলমান আছে এ মুহুর্তে কিছু বলা যাবেনা। তদন্তে সত্যতা প্রমাণিত হলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।