আমলা নয়, আপনাদের একজন হয়ে কাজ করবো-জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন

বরিশালের নবাগত জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার বলেছেন, আমি আমলা নয়, বরিশালের উন্নয়নে আপনাদের একজন হয়ে কাজ করতে চাই। আমি বরিশালের জন্য শতভাগ সময় দিয়ে কাজ করতে চাই। সেজন্য গণমাধ্যমকর্মীদেরও আমি শতভাগ আমার পাশে পেতে চাই। উন্নয়ন কাজ করতে গিয়ে ভুল হলে সেটা সুধরে দেওয়ার জন্য আহ্বানও জানান তিনি। একই সঙ্গে ভালো কাজের সঙ্গে থাকার প্রতিশ্রুতিও চেয়েছেন।
বরিশলের জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদানের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত প্রথম কোন মতবিনিময় সভায় খোলামেলা বক্তব্যে এসব কথা বলেন জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় বরিশালে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে ওই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে জসীম উদ্দীন হায়দার প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের পরিচালক পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি গত ৩ জানুয়ারি বরিশালের জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
মতবিনিময় সভায় নবাগত জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরিশালকে খুবই পছন্দ করেন। তিনি বরিশালের উন্নয়নে অত্যন্ত আন্তরিক। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বরিশালসহ বিভাগের চেহারা পাল্টে যাবে। বরিশালের উন্নয়ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী প্রতিনিধি হিসেবে আন্তরিকভাবে কাজ করবো।
তিনি বলেন, উন্নয়ন কাজ করার জন্য আমি সবার পরামর্শ নেবো। সেখান থেকে যেসব পরামর্শ ইতিবাচক মনে হবে সেগুলো নিয়েই সামনে যাবো। কোন বিশেষ ব্যক্তি বা গোষ্ঠী দ্বারা প্রভাবিত হয়ে কোন কাজ করবো না। উন্নয়ন কাজে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার চেষ্টা করবো। সেই কাজে আমার সঙ্গে গণমাধ্যমকে সহযোগী হিসেবে পেতে চাই।
তিনি আরও বলেন, বরিশালে রেল লাইন স্থাপনে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। বরিশালবাসী আগামী দিনগুলোতে এর সুফল ভোগ করবে। পদ্মা সেতু চালু হলে বরিশাল হবে দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম উন্নত সমৃদ্ধ শহর। এই উন্নয়ন ঘিরে এখানে শিল্পায়ন হবে। বাড়বে কর্মসংস্থান। ঘুড়ে দাঁড়াবে দক্ষিণের অর্থনীতি। তিনি সরকারের সকল উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নে গণমাধ্যমকর্মীসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
মতবিনিময় সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক প্রশান্ত কুমার দাস, এনডিসি মো. নাজমুল হুদা, প্রেসক্লাবের সভাপতি মানবেন্দ্র বটব্যাল, সাবেক সভাপতি এসএম ইকবাল ও সাবেক সভাপতি কাজী আবুল কালাম আজাদ, সদ্য নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক কাজী মিরাজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুরাদ আহমেদ ও পুুলক চ্যাটার্জী, দৈনিক ভোরের আলোর সম্পাদক সাইফুর রহমান মিরণ, চ্যানেল আই প্রতিনিধি শাহীনা আজমীন, এটিএন বাংলার হুমায়ুন কবির, ইলেক্ট্র্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি ফিরদাউস সোহাগ ও সহসভাপতি রাহাত খান, রিপোর্টার্স ইউনিনিটর সাবেক সভাপতি সুশান্ত ঘোষ, কালের কণ্ঠ বরিশাল ব্যুরো প্রধান রফিকুল ইসলাম, যমুনা টেলিভিশনের কাওসার হোসেন, রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মিথুন সাহা, চ্যানেল ২৪-এর প্রাচুর্য রানা, বাংলাভিশনের শামীম হাসান, দীপ্ত টেলিভিশনের মুর্তজা জুয়েলসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।