আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বরিশালের নির্বাচনের গুরুত্ব অপরিসীম

যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন,আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বরিশালের নির্বাচনের গুরুত্ব অপরিসীম ,আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার সব আলামতও দৃশ্যমান।
তিনি বলেন,বরিশালের নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন হিসেবে আমরা দেখি। আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বরিশালের নির্বাচনের গুরুত্ব অপরিসীম। এ নির্বাচনটা এমন একটা সময় হচ্ছে যার মাত্র ছয় মাস পরে জাতীয় নির্বাচন। বরিশালের এ নির্বাচনে নৌকার জয় জাতীয় নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। তাই আমরা বরিশাল সিটি নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি।
দেশে যে নির্বাচনী পরিবেশ বিরাজমান তার একটি উদাহরণ বা প্রমাণ আমি দিতে চাই। আপনারা দেখছেন বিএনপি-জামায়াত অনায়াসে সভা-সমাবেশ করে যাচ্ছে। একদিকে সভা-সমাবেশ করছে, আরেক দিকে নাকে কান্না করছে তাদের নাকি গণতান্ত্রিক অধিকার দেওয়া হয় না। তাদের নাকি রাজনৈতিক স্পেস দেওয়া হয় না। সুষ্ঠু নির্বাচনের নাকি পরিবেশ নেই। অথচ আমরা যখন বিরোধী দলে ছিলাম, তখন আমাদের কিন্তু সভা-সমাবেশ করতে দেওয়া হতো না। পুলিশের লাঠিচার্জ ও কাঁদানো গ্যাস ছিল নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার।
মঙ্গলবার (৩০ মে) বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বরিশাল মহানগর ও জেলা, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, বরগুনা ও ভোলা যুবলীগের নেতাদের সমন্বয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাতকে বিজয়ী করার লক্ষে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
যুবলীগের চেয়ারম্যান পরশ বলেন, যারা একুশে আগস্ট সন্ত্রাস বিরোধী শান্তি সমাবেশে যুদ্ধে ব্যবহৃত গ্রেনেড মেরে আমাদের ২৫ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করে, অগণিত নেতাকর্মীকে আহত করেছে, তাদের মুখে এ কথা কতক্ষণ শোভা পায়। এটা দেশবাসী বিবেচনা করুন।
কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিলের সঞ্চালনায় সভায় বরিশাল সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত তার বক্তব্যে বলেন, উন্নয়নের যে কর্মযজ্ঞ জননেত্রী শেখ হাসিনা এ দেশে সৃষ্টি করেছেন, দুঃখ ও কষ্ট লাগে আমরা বরিশালবাসী সেখানে বঞ্চিত। যেটা এখানকার মানুষই উপলব্ধি করে। বরিশালের মানুষের সেবা করার জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন।
তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করছেন, সেটা আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত না। আমরা যদি ভুলে যাই এবং তার নির্দেশ বা তার পছন্দ উপেক্ষা করলে কারও জন্য মঙ্গল আনবে না। আমি কারও সমালোচনা করতে চাই না, কারও বিরুদ্ধচারণ করতে চাই না। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখ এবং কষ্টে বলতে হয় কিছু কথা। ৪০ দিন কেটে গেছে কিন্তু সত্যিকারের অর্থে আমি অনেকের সহযোগিতা পাই না। আমাদের অভিভাবক কে আমি জানতে চাই। জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ বা আদেশ উপেক্ষা করাটা হবে আত্মঘাতী। সংগঠন ও সাংগঠনিক কার্যকলাপ বিঘ্নিত যাতে না হয়, সেখানে আমি অনেকের কাছ থেকে অনেক রকম বিরুদ্ধ আচরণ পেয়েছি।
তিনি আরও বলেন, গাজীপুর থেকে আমরা শিক্ষা নেবো, কিন্তু আমরা শিক্ষাই তো নেই না, এটাই সবচেয়ে বড় কথা। আমি গুলিবিদ্ধ অবস্থায় টেলিভিশনে দেখেছি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে যারা বেইমানি করেছে তারা বঙ্গভবনে শপথ নিচ্ছে। আওয়ামী লীগ একটা গণমানুষের দল, আমি আমার বাবা ও মামাকে দেখেছি, তাদের আদর্শেই আমি অনুসরণ করবো আর জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ-আদেশ পালন করবো। আমি বরিশালবাসীকে বলতে চাই, মেয়র হলে সিটি করপোরেশনকে আপনাদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য মো. গোলাম কবীর রাব্বানী চিনুসহ স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগের নেতারা।