আমি স্ট্রিট ফাইটারঃ মমতা

পশ্চিমবঙ্গে একুশের নির্বাচনে ভোট প্রচারে গিয়ে নন্দীগ্রামে আহত হওয়ার পর কয়েকদিন বিশ্রাম নিয়ে ফের মাঠে নেমে নেমেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হুইল চেয়ারে করেই প্রচার শুরু করলেন তিনি। এদিন পশ্চিমবঙ্গের ঝালদা এবং পুরুলিয়াতে প্রচারে যান তিনি।
পুরুলিয়ার বলরামপুরের সভা থেকে ফের মমতা দাবি তুললেন, নন্দীগ্রামে আমার গাড়ির দরজা চেপে দেওয়া হয়। আমি গাড়ির পাদানিতে দাঁড়িয়ে মানুষকে নমস্কার করছিলাম। তখন আমার গাড়ির দরজা এমনভাবে চেপে দেওয়া হয় যে আমি চোট পাই। আমাকে চিকিৎসকেরা ১৫ দিন বিশ্রাম নিতে বলেছেন। কিন্ত আমি বলেছি, আপনারা চিকিৎসাটা করিয়ে দিন। বাকি আমি ঠিক হুইল চেয়ারে করে মানুষের কাছে পৌঁছে যাব।
মমতা বলেন, অনেকে ভেবেছিলেন, মমতা ভোটের সময় বের হতে পারবে না। ডুগডুগি বাজিয়ে দেব। কিন্ত আমি ভাঙি তবুও মচকাই না। যতোক্ষণ পর্যন্ত শ্বাস থাকবে, কন্ঠ চলবে তা রোখার দুঃসাহস যেন কেউ না দেখায়। আমি রাস্তায় থেকে লড়াই করি। আমি স্ট্রিট ফাইটার। আমি মনে করি, আমার যন্ত্রণার থেকেও সাধারণ মানুষের যন্ত্রণা বেশি। মমতা বলেন, গত ১০ তারিখে নন্দীগ্রামের ঘটনায় আমার পায়ে চোট লাগে। আর সেই চোটের জন্য সার শরীরে চোট। পুরো পা প্লাস্টার হয়েছে। হাটাচলা করতে পারছি না। সেদিন কপাল জোরে বেঁচে গিয়েছি।
মমতা এদিন বিজেপিকে আক্রমণ করে বলেন, ওরা ভেবেছিল এমন অবস্থায় আমি প্রচার করতে পারব না। কিন্ত আমার মনের জোর অনেক বেশি। আর সেই জোরই আমাকে বারবার মানুষের কাছে নিয়ে আসে। তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বলেন, আজ পর্যন্ত বিজেপি দেখাক তারা বাংলার জন্য একটা কাজ করেছে। বাংলা থেকে তো ওদের ১৮ জন সাংসদ। কিন্ত কোনও কাজ নেই। এখন তারা বিধানসভা ভোটে দাঁড়াচ্ছে। এমপি হয়ে ভরাডুবি, এখন এমএলএ হয়ে বাজাবে ডুগডুগি। ওদের কাছে জিজ্ঞাসা করুন, ভোটে জিতে ওরা কি কি করবে? এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা দেন, তৃণমূল জিতলে বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, আর আগে মমতা বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। এদিনের সভা থেকে মমতা বিজেপিকে তুলোধুনা করে বলেন, বিজেপির ন্যাকা কান্নায় ভুলবেন না। ওরা ফাইভ স্টার হোটেল থেকে খাবার আনে, আর দুই ঘন্টার জন্য ঘর ভাড়া করে। দেখায় গরীবদের ঘরে খাচ্ছে। ওসব ফাঁদে কেউ পা দেবেন না। আপনাদের একটাই মন্ত্র হোক, বিজেপি হঠাও, দেশ বাঁচাও।