আমিরাতের কাছে ড্রোন বিক্রি করছে যুক্তরাষ্ট্র

আরব আমিরাতের কাছে ১৮টি অত্যাধুনিক সশস্ত্র এমকিউ-নাইন ‘বি ড্রোন বিক্রির পরিকল্পনা মার্কিন কংগ্রেসকে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। যার বাজার মূল্য ২০৯ কোটি মার্কিন ডলার। সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তির বরাতে শুক্রবার (০৬ নভেম্বর) ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যে ওয়াশিংটনের ঘনিষ্ঠমিত্র এবং তেল সমৃদ্ধ উপসাগরীয় রাষ্ট্রটির কাছে এফ-থার্টিফাইভ যুদ্ধবিমান বিক্রির সম্ভাব্য আলোচনার মধ্যেই ড্রোন বিক্রির বিষয় সামনে এলো।
স্নায়ু যুদ্ধকালীন যুক্তরাষ্ট্রসহ ৩৪টি দেশের মধ্যে একটি অস্ত্র চুক্তি সই হয়। সম্প্রতি সেই চুক্তি পুনর্মূল্যায়ন করে ট্রাম্প প্রশাসন। মিত্রদের কাছে ড্রোন বিক্রির সুযোগ পায় ওয়াশিংটন। চুক্তি সংশোধনের পর প্রথম সংযুক্ত আর আমিরাতের কাছে ড্রোন বিক্রি করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
রয়টার্স জানিয়েছে, মার্কিন ড্রোন কেনার জন্য অনেকদিন ধরে আগ্রহ দেখিয়ে আসছে আমিরাত। গ্রীষ্মেই মার্কিন রফতানিনীতি পরিবর্তন হয়। পরিবর্তিতনীতিতে আবুধাবি হতে যাচ্ছে ওয়াশিংটনের ড্রোন প্রথম ক্রেতা।
মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথমবারের মতো তাইওয়ানের কাছে ৬০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের চারটি নিরস্ত্র ড্রোনসহ সশস্ত্র এমকিউ-নাইন-বি সিগার্ডিয়ান বিক্রির ঘোষণা দেয় কংগ্রেস।
ইয়েমেন যুদ্ধে আমিরাতের ভূমিকার জন্য দেশটির সমালোচনা করেছে মার্কিন সিনেটের ফরেন রিলেশন এবং কংগ্রেসের ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আনুষ্ঠানিক প্রস্তাবের আগে আলোচনা করে কর্তৃপক্ষের অস্ত্র বিক্রির ক্ষমতা স্থগিত করতে পারে কমিটি।
কংগ্রেসকে আনুষ্ঠানিকভাবে অস্ত্র বিক্রির বিষয়টি জানানোর জন্য অপেক্ষা করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আনুষ্ঠানিকভাবে জানানোর পর বিক্রির বিষয়ে আপত্তি জানানোর জন্য ৩০ দিন সময় পাবে কংগ্রেস।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রয়টার্সকে জানান, কংগ্রেস থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদ না পাওয়া পর্যন্ত প্রস্তাবিত বা নিশ্চিত হওয়া অস্ত্র চুক্তির বিষয়ে মার্কিননীতি অনুযায়ী মন্তব্য করার কোনো সুযোগ নেই।