আলোচিত রিয়াজ হত্যা মামলা তদন্তে সিআইডি

বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার বরিশাল সদর উপজেলা চরমোনাই ইউনিয়নে আলোচিত রিয়াজ হত্যা মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সিআইডির কাছে। রিয়াজ হত্যা মামলার বাদি তার বড় ভাই মনিরুল ইসলাম আদালতে মামলার পুনতদন্তের আবেদন করলে আদালত ওই নির্দেশ দেন।
মঙ্গলবার বরিশাল চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাসুম বিল্লাহ সিআইডিকে দায়িত্ব দিয়েছেন।
মঙ্গলবার মামলার ধার্য তারিখে হত্যা মামলার প্রধান আসামী আমিনা আক্তার লিজাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে কয়েকজন ছিচকে চোরকে অভিযুক্ত করে তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা আদালতে চার্জসিট প্রতিবেদন দাখিল করেন। এঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে মামলার বাদি মো. মনিরুল ইসলাম ওই আবেদন করেন।
আলোচিত দলিল লেখক রিয়াজ হত্যা মামলাটি দুই দফা কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশের তদন্ত থাকাকালীন সময়ে বাদির আবেদন ছাড়াই রহস্যজনকভাবে উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা মামলাটি বরিশাল মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কে তদন্তের দায়িত্ব প্রদান করে। রিয়াজ হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির ইন্সেপ্রেক্টর মো. সগির হোসেন বিভিন্ন স্থান থেকে চার ছিচকে চোরকে আটক করে আদালতে জবানবন্দী গ্রহণ করান।
জবানবন্দির রেকর্ডিও কাগজ-পত্র সূত্রে দেখা যায় যাদেরকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করে তদন্তকারী কর্মকর্তা সগির হোসেন (১৬৪) ধারায় জবানবন্দী গ্রহণ করিয়েছে সেই চারজনের দেয়া জবানবন্দীর সঙ্গে কোন হত্যা সম্পর্কে মিল খুঁজে পাওয়া যায় না।
মামলার বাদী মনিরুল ইসলাম রিপন অভিযোগ করে বলেন, তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলাটি তদন্তের নামে দীর্ঘদিন করোনার অজুহাত কালক্ষেপন করে এবং হত্যা সংঘটিত সরেজমিন এলাকায় তদন্ত না করে মামলার প্রধান আসামী আমিনা অক্তার লিজাকে রক্ষা করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। এঘটনা বুঝতে পেরে ২৩ অক্টোবর চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে সিআইডি পুলিশ সদস্য দ্বারা সুষ্ঠু ও অধিকতর তদন্তের জন্য আবেদন করেন।