আসছে আরো ২১ লাখ টিকা

মহমারি করোনাভাইরাসের প্রায় ২১ লাখ টিকা পাচ্ছে বাংলাদেশ। এটি আসবে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে। রোববার (২৫ এপ্রিল) বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস উপলক্ষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত এক সভায় সাংবাদিকদের এই কথা জানান অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার খুরশীদ আলম।
মহাপরিচালক বলেন, ওই ২১ লাখ টিকার একটি অংশ আনবে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। আরেকটি অংশ পাওয়া যাবে কোভ্যাক্স থেকে। এর মধ্যে বেক্সিমকো আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ২০ লাখ টিকা দিচ্ছে। এ ছাড়া কোভ্যাক্স থেকে ফাইজারের উৎপাদিত এক লাখ টিকা পাওয়া যাবে।
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে টিকা পাওয়ার অনিশ্চয়তার মধ্যে গতকাল বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নাজমুল হাসান (পাপন) বলেছিলেন, টিকা আনার জন্য সরকারকে জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে।
বেক্সিমকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের এমন বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে সাংবাদিকরা জানতে চান, বেক্সিমকো কবে টিকা দেয়ার কথা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে জানিয়েছে? উত্তরে অধ্যাপক খুরশীদ আলম বলেন, গত পরশু বেক্সিমকো তাদের ২০ লাখ টিকার কথা জানিয়েছে।
দেশে ভারতের ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি আছে কিনা এমন কোনো নিশ্চিত খবর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে নেই বলেও জানান সংস্থটির মহাপরিচালক।
তবে দেশে নাইজেরিয়ার ভ্যারিয়েন্ট পাওয়ার কথা তিনি গণমাধ্যমেই জেনেছেন। এছাড়া ভারতের সঙ্গে সীমন্ত বন্ধ করার বিষয়ে এখনো কোনা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলেও জানান তিনি।
এদিকে করোনাভাইরাসের টিকা পেতে চীনসহ ছয়টি দেশের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। ‘ইমার্জেন্সি ভ্যাকসিন স্টোরেজ ফ্যাসিলিটি ফর কোভিড ফর সাউথ এশিয়া’ নামের এই প্ল্যাটফর্মের অন্য দেশগুলো হচ্ছে চীন, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা।
জরুরি প্রয়োজনে টিকা পেতে চীনের উদ্যোগে নতুন প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশ অন্তর্ভুক্ত হতে সম্মত হয়েছে বলে গত বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, করোনাভাইরাসের টিকার জন্য আমরা এখন চীনের সঙ্গে সম্পর্ক করেছি। চীন আমাদের ভ্যাকসিন দেবে। এ ভ্যাকসিন আমরা খুব শিগগির পাব বলে আশা করছি।
শুরুতেই চীন উপহার হিসেবে বাংলাদেশকে ছয় লাখ ডোজ টিকা উপহার দেবে বলেও জানিয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি আরো বলেন, এজন্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হবে, যার খসড়া তৈরিও শেষ হয়েছে।