উচ্ছ্বসিত কিউইরা

উচ্ছ্বসিত কিউইরা

বাংলাদেশের বিপক্ষে কোন কূলকিনারা খুঁজে পায়নি অস্ট্রেলিয়া। একটি ম্যাচ জিতলেও অজিরা বাকি ম্যাচগুলোতে সামান্যতম লড়াইও করতে পারেনি। একই কন্ডিশনে নিউজিল্যান্ড প্রথম ম্যাচে ৬০ রানে অলআউট হলেও দ্বিতীয় ম্যাচে লড়াই করেছে। তৃতীয় ম্যাচে তো বাংলাদেশকে ৭৬ রানে অলআউট করে পেয়েছে ৫২ রানের জয়! কঠিন কন্ডিশনে চ্যালেঞ্জ জিততে পারায় স্বাভাবিকভাবেই কিউইরা ভীষণ উচ্ছ্বসিত। এক ভিডিও বার্তায় নিজেদের উচ্ছ্বাসের কথা জানিয়েছেন কিউই ব্যাটসম্যান হেনরি নিকোলস।

নিউজিল্যান্ডের স্কোরবোর্ড সমৃদ্ধ করতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা ছিল নিকোলসের। তার অপরাজিত ২৯ বলে ৩৬ রানের ইনিংসের ওপর ভর করেই ১২৮ রান পেয়েছে নিউজিল্যান্ড। জবাবে খেলতে নেমে বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে ৭৬ রানেই।

প্রথম ম্যাচের হতাশা কাটিয়ে এভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পেরে নিকোলস বলেছেন, ‘সিরিজে টিকে থাকতে পেরে ভালো লাগছে। দল হিসেবে আমরা প্রতিটি ম্যাচে উন্নতি করছি। প্রতিটি ম্যাচে ভিন্ন ভিন্ন রোমাঞ্চকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়েছিল। যা আমাদের জন্য ভিন্ন আরেকটি চ্যালেঞ্জ। দেখে খুব ভালো লাগছে যে, সবাই নিজেদের চ্যালেঞ্জগুলো নিতে পেরেছে। টম অধিনায়ক হিসেবে আমাদের বলেছে, উন্নতির জায়গা খুঁজতে হবে। আমরা প্রতিটি খেলায় সেটি করতে পেরেছি।’

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের সিরিজ থেকেই শিক্ষা নিয়েছে কিউইরা। বিষয়টি উল্লেখ করে কিউই এই ব্যাটসম্যান বলেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়া এখানে এসে কঠিন সংগ্রাম করেছে, সেটি আমরা দেখেছি। আমরা জানতাম বাংলাদেশে আমাদের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। তবে এতটুকু নিশ্চিত ছিলাম, ছোট ছোট কাজগুলো ঠিকমতো করতে পারলে সফল অবশ্যই হবো।

অথচ এই কিউইরাই প্রথম ম্যাচে ৬০ রানে অলআউট হয়েছিল। তাতে উইকেটের প্রভাব থাকলেও বাকি দুই ম্যাচে তুলনামূলক ভালো উইকেটে খেলেছে। উইকেট প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘প্রথম ম্যাচের উইকেটটা অবশ্যই আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে কঠিন। সেখানে টার্নের পাশাপাশি অনেক অসম বাউন্স ছিল। বাংলাদেশও সেখানে সংগ্রাম করেছে। তবে শেষ দুটি ম্যাচে ভালো উইকেটে হয়েছে। স্কোর তার পরও ১২০, ১৪০ এর মধ্যে ছিল। ওই দুটি ম্যাচে আমরা উইকেট মূল্যায়ন করতে পেরেছি, সেখানে দেখেছি সন্ধ্যার পর উইকেটের আচরণ কিছুটা বদলে যাচ্ছে।’

তবে প্রথম ম্যাচে ৬০ রানে অলআউট হওয়াকে অবিশ্বাস্য বলছেন নিকোলস, ‘প্রথম ম্যাচে ৬০ রানে আউট হওয়া, অবিশ্বাস্য আর হতাশাজনক ছিল। আমরা সবাই মিলে কন্ডিশন জয়ের চেষ্টা করেছি। প্রত্যেকে প্রত্যেকের ওপর বিশ্বাস রেখেছি। জানতাম আমরা যদি প্রসেসগুলো ঠিক রাখতে পারি, তাহলে বাংলাদেশের ওপর ছড়ি ঘোরানো সম্ভব।’