এ ওয়ান’ বাইক

মোটরসাইকেল সাধারণত দুই চাকার হলেও এক চাকার বাইক বিশ্বে অনেক জায়গায় আছে। কিন্তু এবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর ধোলাই পাড়ের আলমগীর হোসেন নামে এক যুবক আবিষ্কার করলেন এক চাকার বাইকের মতো এক অদ্ভুত যান।
তার দাবি বাংলাদেশে তিনিই প্রথম এই এক চাকার বাইক আবিষ্কারক। নিজের নামের সঙ্গে মিলিয়ে এ যানের নাম রাখা হয়েছে ‘এ ওয়ান’ বাইক। যদিও বাইকের ৯০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, এই বাইকটি দেখতে ধোলাই পাড়ে তার গ্যারেজে সামনে বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ ভিড় করছে। অনেকে আবার বাইক আবিষ্কারকের সঙ্গে সেলফি তুলছে।
জানা গেছে, তার জন্ম বিক্রমপুরে হলেও ছোট বেলা থেকে দনিয়ার ধোলাই পাড়ে তার বেড়ে ওঠা। প্রাথমিকের গণ্ডি পার না হতে পারায় ছোট বেলায় নেমে যান মোটরবাইক মেরামত কাজে। যদিও তার এখন নিজস্ব গ্যারেজ রয়েছে ধোলাই পাড়ে। আর্থিক দিক থেকে তেমন সচ্ছল না হলেও বাইক গ্যারেজের মেরামতে যা আয় হতো তা দিয়ে এক চাকার বাইক তৈরির সরঞ্জাম বানাতে শুরু করেন।
তিনি জানান, এই এক চাকার বাইকে অন্য মোটরবাইকগুলোর মতো মোটর ইঞ্জিন রয়েছে। যা এ বাইক আবিষ্কারক নিজে বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করে বাইকটিতে লাগিয়েছেন। এক বছর সময় লেগেছে বাইকটি এ অবস্থানে আনতে।
জানা যায়, প্রথম দিকে এই বাইক আবিষ্কারক একটি চাকা বানাতে গিয়ে তিনটি চাকা নষ্ট হয়েছে, আর বাইকের মূল ইঞ্জিনটি করতেও তার দুটি ইঞ্জিন নষ্ট হয়েছে। এই পর্যন্ত বাইকটিতে তার এক লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। বাইকটি পুরো কাজ আরও কিছুদিন পর শুরু করা হবে।
মো. টুটুল নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা দেশ রূপান্তরকে বলেন, এই বাইক আবিষ্কারক আলমগীরকে অনেক দিন ধরেই চিনি। তার এখানে বাইক মেরামত করতে আসা হয়। অনেক আগেই দেখেছি বাইকটি কাজ করতে।
আলমগীর হোসেন বলেন, অনেক দেশেই এই এক চাকার বাইক আছে। কিন্তু তাদের দেশে এত চাহিদা নেই। বাংলাদেশে নতুন কিছুর জন্য মানুষের বেশ চাহিদা থাকে। সে কারণে ছোটবেলা থেকে চিন্তা করেছি এমন কিছু বানাতো হবে যেন মানুষ আমাকে চেনে। সে জন্যই দেশে প্রথম এই এক চাকার বাইক আবিষ্কার করেছি।
তিনি বলেন, এই বাইকটি সম্পূর্ণ যখন বানানো শেষ হবে, দেশের সবচেয়ে আরামদায়ক হবে। কারণ বাইকটি ব্রেক করলেই দোলনায় চড়তে মানুষ যেমন মজা পায় ঠিক তেমন মজা পাবে। অভিজ্ঞ চালকরা খুব সহজে এ বাইক চালাতে পারবে। বাইকটি কাজ শেষ না হওয়ায় আমারও কিছুটা বেগ পেতে হয় চালাতে। যখন সম্পূর্ণ তৈরি হবে তখন আর কোনো সমস্যা হবে না। তা ছাড়া সরকার যদি সুযোগ করে দেয় তাহলে বাণিজ্যিকভাবে এই বাইকটি তৈরি করব। শুধু এই রকম বাইকই নয় আমার মাথায় আরও অনেক কিছু আছে যা দেশের মানুষ কখনো কল্পনাও করেনি। সেগুলোও বানাতো পারব।
সংগৃহীত- দেশ রূপান্তর