এ কালের ক্রিকেটার হলে আইপিএলকে বেছে নিতাম: বিসিবি পরিচালক
একসময় আইপিএলের পর দ্বিতীয় জনপ্রিয় আসর বলে বিপিএলকে দাবি করতেন বিসিবি কর্তারা। সেই দাবি থেকে এবার সরে এসেছেন তারা। গত সেপ্টেম্বর টুর্নামেন্ট আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক নিজেই স্বীকার করেছিলেন। থাকে না টি-টোয়েন্টি উপযোগী উইকেট, ছিল না দীর্ঘমেয়াদী কোনো পরিকল্পনা। ডিআরএস প্রযুক্তি নিয়ে আসতেও ভাবতে হয় সাত-পাঁচ। তাতেই হয়তো চটেছেন টাইগারদের সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন। জানালেন, নিজে এ কালের ক্রিকেটার হলে আইপিএলকে বেছে নিতে তিনি।
বিপিএলের নবম আসর শুরু হচ্ছে ৬ জানুয়ারি থেকে। একই সময় চলবে দক্ষিণ আফ্রিকায় এসএ-২০ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের আইএলটি-২০ লিগ। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণের তারকা ক্রিকেটাররা সব বিপিএল ফেলে ওই দুই লিগকেই বেছে নিয়েছেন। পেশাদারিত্ব আর অর্থের পাশাপাশি আইপিএল দলগুলোর নজরে পড়ার সুযোগ যে বেশি সেখানেই।
আজ মঙ্গলবার মিরপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে খালেদ মাহমুদ সুজন স্বীকার করে নেন যে, প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছে বিপিএল।
সুজন বলেন, ‘পেশাদারিত্বের দিক থেকে আমরা খুবই ভালো ছিলাম, আইপিএলের পরই আমরা ছিলাম। তবে এখন অনেকে ভালো করছে, আমাদের ছাড়িয়ে যাচ্ছে। ড্রাফট থেকে যারা আসছে আমরা তেমন ভালো খেলোয়াড় পাইনি। দক্ষিণ আফ্রিকা ও আরব আমিরাতের ঐ দুই টুর্নামেন্টে দলগুলো আইপিএল-কেন্দ্রিক। সবারই একটা লক্ষ্য থাকে আইপিএল খেলার। ওসব টুর্নামেন্ট খেলতে গেলে আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিদের নজরে পড়ার সুযোগ থাকে।’
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ আরও স্বীকার করে নেন যে, এই সময়ে তিনি খেলোয়াড় থাকলে বিপিএলের বদলে আইপিএলকেই বেছে নিতেন। সুজনের ভাষায়, ‘আইপিএলের মতো তো কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ নেই। আমি খেলোয়াড় হলে আমিও এই টুর্নামেন্ট (বিপিএল) না খেলে ওই টুর্নামেন্টে যেতাম, এটা খুবই স্বাভাবিক। এটার কারণেই আমরা একটু পিছিয়ে যাচ্ছি। ভারতের সাথে আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারছি না।’